এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > পঞ্চায়েত কর্মীকে মারধরের অভিযোগে প্রভাবশালী নেতাকে গ্রেপ্তার করতেই থানা ঘেরাও গেরুয়া শিবিরের

পঞ্চায়েত কর্মীকে মারধরের অভিযোগে প্রভাবশালী নেতাকে গ্রেপ্তার করতেই থানা ঘেরাও গেরুয়া শিবিরের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের মারধর এবং হেনস্থা করার অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টিকে। কিন্তু এবার পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মীকে মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার হতে হল এক বিজেপি নেতাকে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বীরভূমের মল্লারপুর এলাকায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার সকালে দক্ষিণ গ্রাম পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী অভিজিৎ গড়াই নামে এক ব্যক্তি বাংলা আবাস যোজনার বাড়ির জিও ট্যাগ করবার জন্য টাওসিয়া গ্রামে যান। আর সেই সময় বিজেপির বেশকিছু কর্মী-সমর্থকরা তাকে ঘিরে ধরে বাড়ির জিও ট্যাগ করার জন্য চাপ দেয় বলে অভিযোগ। তবে প্রশাসনিক নির্দেশ না থাকায় তিনি সেই কাজ করতে রাজি হননি। আর এর পরেই তাকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে সেই ব্যক্তি থানায় গেলে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন সেই অভিজিৎ গড়াই।

জানা গেছে, গোটা ঘটনায় পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী অভিজিৎ গড়াই বিজেপির ময়ূরেশ্বর ১ বি মন্ডলের সভাপতি সুশান্ত দের নামে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আর তারপরই পুলিশ তদন্তে নেমে রাতে সেই অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। এদিকে এই ঘটনার পরেই তাদের দলীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে বিক্ষোভে নেমে পড়ে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন দুপুর 12 টা থেকে থানা ঘেরাওয়ের পাশাপাশি মল্লারপুর সাঁইথিয়া রাস্তা অবরোধ করে তাদের নেতাকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হোক বলে দাবি তুলতে শুরু করেন বিজেপি নেতৃত্ব। খবর পেয়ে উপস্থিত হন এসডিপিও সৌমজিৎ বড়ুয়া। আর এরপর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে বিজেপির পক্ষ থেকে সেই বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।

আর এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার তৃণমূল এবং বিজেপির তরজা ক্রমশ চরম আকার ধারণ করেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকে জেলা সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দুদিন আগে এলাকার বেশ কিছু লোক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তারই প্রতিক্রিয়াস্বরূপ আমাদের মন্ডল সভাপতিকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের দাবি, কেসের পরবর্তী দিনে যাতে জামিন হয়, তার ব্যবস্থা পুলিশকে করতে হবে।”

এদিকে এই ব্যাপারে বিজেপিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথ্যমন্ত্রী আশিস বন্দোপাধ্যায় বলেন, “কিছু অপরাধমূলক কাজকর্ম করার মনোভাব নিয়ে যারা বিজেপি করছে, তারা সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে কেউ সন্ত্রাস করে পার পাবেন না।” সব মিলিয়ে বীরভূমের এই ঘটনা রাজনৈতিক উত্তেজনাকে কতটা বৃদ্ধি করে এবং এর ফলে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!