এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পঞ্চায়েতে আর্থিক দুর্নীতি রুখতে এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য-সরকার

পঞ্চায়েতে আর্থিক দুর্নীতি রুখতে এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য-সরকার

কথায় আছে, “অতীতের পুনরাবৃত্তি হয়”। কিন্তু সেই অতীত যদি মন্দ হয় তাহলে তাকে আটকাতে তো সক্রিয় হতে হবে নিজেদেরই। আর সেইমতই অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পঞ্চায়েতে আর্থিক দুর্নীতি ঠেকাতে রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যাবস্থার সমস্ত পদাধিকারীদের ক্ষমতা কিভাবে নিয়ন্ত্রন করা যায় তা ভাবতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য. গত 2008 এর পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃনমূলের হাতে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা আসতে শুরু করে। এরপর 2011 সালে রাজ্যে বাম সরকারের পতন ঘটিয়ে তৃনমূল সরকার প্রতিষ্টিত হলে 2013 র পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর প্রায় সব জায়গাতেই নিজেরা নির্বাচিত হলে অনেক পঞ্চায়েতেই আর্থিক অনিয়মের ব্যিপারটি নজড়ে আসে শাসদলের শীর্ষনেতৃত্বের।

সূত্রের খবর, 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের প্রায় কমবেশি সব জেলাতেই শাসকদল বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত গঠন করলে এবার সেইখানে দুর্নীতিকে আটকাতে চাইছেন খোদ তৃনমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তাই সেইমত দলের সমস্ত পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলাপরিষদের জনপ্রতিনিধিদের কাছে একটি নির্দেশিকাও পাঠানো হবে। যেখানে এই তিন স্তরেই জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতা কমিয়ে সরকারি আধিকারিকদের ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই প্রসঙ্গে এদিন তৃনমূলের এক শীর্ষনেতা বলেন, “ছিদ্র বন্ধ করতে না পারলে সরকারের অর্থ জলে যাবে। তাই অবিলম্বে এগুলো বন্ধ করে স্বচ্ছ পঞ্চায়েত গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, জনসাধারনের মনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভালো হলেও তৃনমূলের নীচুতলার কর্মীদের দুর্নীতিতে অনেকেই বিরক্ত। তাই এবার সেই একেবারে নীচুতলার জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রন করে সরকারি আধিকারিকদের ওপরই বড় ভরসা রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!