এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > হঠাৎ নিখোঁজ প্রধান সহ পঞ্চায়েত সদস্যরা! তৃণমূলের “দখল রাজনীতি” নিয়ে সরব বিরোধীরা

হঠাৎ নিখোঁজ প্রধান সহ পঞ্চায়েত সদস্যরা! তৃণমূলের “দখল রাজনীতি” নিয়ে সরব বিরোধীরা

 

লোকসভা নির্বাচনের পর বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের দখলে থাকা পঞ্চায়েত দখল করতে শুরু করে বিজেপি। যেখানে তৃণমূলের অনেক সদস্য গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেন। যার ফলে অস্তিত্ব সংকট দেখা যায় ঘাসফুল শিবিরের। উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের এই অস্তিত্ব সংকট তাদের চরম চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে থেকেই এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে শুরু করে। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া সদস্যরা ফের তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেন।

আর এবার আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটলো পুরাতন মালদা ব্লকের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতে। সূত্রের খবর, এই পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান সহ অনেক পঞ্চায়েত সদস্যদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যা নিয়ে প্রবল রহস্য ঘনীভূত হতে শুরু করেছে। জানা যায়, গত শনিবার থেকে এই পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান লক্ষীরাম হাসদা, ফুলমণি হেমব্রম, বিশনি কোরামুদি এবং কংগ্রেসের বাবুরাম হেমব্রমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

পাশাপাশি খোঁজ নেই এই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রভুনাথ দুবেরও। আর এমত একটা পরিস্থিতিতে পুরাতন মালদা ব্লকের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েত তাদের দখলে আসবে বলে দাবি করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তৃণমূলের এই দাবি এবং এই পঞ্চায়েত সদস্যদের উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা একে অপরের পরিপূরক বলে দাবি করতে শুরু করেছে একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, তৃণমূল ভয় দেখিয়ে তাদের পঞ্চায়েত সদস্যদের লুকিয়ে রেখেছে। যদিও বা তৃণমূলের পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। আর তাই নিয়েই এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে ভাবুক পঞ্চায়েতে। এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মকান্ডে শামিল হতেই বিজেপি পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের চারজন সদস্য আমাদের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন। তাদের পাশপাশি আরও কয়েকজন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আমরা সেটা দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি। আগামী দিনে তারা আমাদের দলে যোগ দেবেন। আমরা বোর্ড গড়ার ম্যাজিক সংখ্যা জোগাড় করে নিয়েছি। ইতিমধ্যেই এই পঞ্চায়েতে আমাদের বোর্ড করার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। খুব দ্রুত বোর্ড গঠন করা হবে।”

এদিকে এই প্রসঙ্গে পুরাতন মালদহ ব্লক তৃণমূলের কনভেনার জহর ঘোষ বলেন, “বিজেপি এবং কংগ্রেস মিলিয়ে চারজন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে আসছেন। তারা বর্তমানে আমাদের ছত্রছায়ায় রয়েছেন। নিজেদের দলে তারা গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা তাদের স্বাগত জানাচ্ছি।” তবে এই ব্যাপারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির।

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি গোপাল সাহা বলেন, “তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী আমাদের সদস্যদের হাইজ্যাক করেছে। কয়েক জন সেই ডেরা থেকে পালিয়ে এসেছেন। এভাবে জোর করে কাউকে আটকে রাখা যায় না আমরা এর প্রতিবাদে আন্দোলন করব।” তবে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে উপপ্রধানের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার খবর পাওয়া গেলেও সেই ব্যাপারে অন্য কথা বলছেন এই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রভুনাথ দুবে। এদিন তিনি বলেন, “দল ছেড়ে যাওয়ার জল্পনা ভিত্তিহীন। আমি বিজেপিতেই রয়েছি।”

সব মিলিয়ে তৃণমূল বনাম বিজেপির অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে এখন কোন পরিস্থিতি নেয় ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েত, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!