পঞ্চায়েত স্তরে বড় বদল মমতার? গ্রাম প্রধানদের হাতে থাকছে না ক্ষমতা? বদলে সব কিছু এঁদের হাতে? কলকাতা রাজ্য December 5, 2019 2011 সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের গ্রামগুলিতে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে ব্যাপক উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে তিনি আঁচ করেছেন যে, প্রধানদের দিয়ে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন হচ্ছে না। সমস্ত স্তরে উন্নয়ন ঠিকমতো পৌঁছলেও, একদম গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ঠিকমতো সরকারি সুযোগ-সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। যার ফলে শাসক দলের প্রতি মানুষের দিনকে দিন ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি প্রকল্প দিতে গেলে কাটমানি নেওয়ার রেওয়াজ শুরু হয়েছে এই পঞ্চায়েত স্তরে। তাই সেদিক থেকে প্রধানদের বদলে সরাসরি নোডাল অফিসারদের মাধ্যমে পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকেও আমলাতান্ত্রিক করে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। যাতে করে একদিকে উন্নয়ন সম্ভব, তেমনই দুর্নীতিও ঠেকানো সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, রাজ্যের 3,344 টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই এবার ব্লক থেকে নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। যারা পঞ্চায়েতের প্রধান মুখ হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে উন্নয়নমূলক প্রকল্প পৌঁছে দেবেন। জানা গেছে, গত 30 নভেম্বর রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের এই ব্যাপারে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই জঙ্গলমহলে এই ব্যাপারে কাজ শুরু হয়ে গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যেখানে গত 30 নভেম্বর এই জেলার 170 টি গ্রাম পঞ্চায়েতের নোডাল অফিসারকে এক ছাতার তলায় ডেকে এই কাজ করবার জন্য 17 দফা অ্যাসাইনমেন্ট দেয় জেলা প্রশাসন। আর সেদিনই রাজ্যের মুখ্যসচিবের জেলায় জেলায় এই নির্দেশ পাঠানো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন এই প্রসঙ্গে পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্বপ্রাপ্ত নোডাল অফিসাররা এই জেলায় কিভাবে কাজ করবেন, তা আমরা পৃথক নির্দেশিকা দিয়ে তাদের জানিয়ে দেব। ডিসেম্বর মাসে 17 দফা কাজের তালিকা দেওয়া হয়েছে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামের মানুষদের কাছে উন্নয়ন পৌঁছনোই এখন রাজ্য সরকারের প্রধান লক্ষ্য। কেননা সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে রাজ্যের বিরোধী ঝড়কে ফিকে করে দিতে একদম নিচু স্তরে উন্নয়ন না পৌঁছলে যে গ্রামের মানুষরা শাসকবর্গের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তা বুঝতে বাকি নেই তৃণমূল কংগ্রেসের। আর তাইতো এখন প্রধানদের বাড়বাড়ন্ত কমাতে উন্নয়ন মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে নোডাল অফিসারদের মুখ করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। আপনার মতামত জানান -