পঞ্চায়েতে ‘সন্ত্রাস’ নিয়ে এবার রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জাতীয় রাজ্য October 9, 2018 বাংলায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর্ব থেকেই রাজ্যসরকারের সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব বিরোধীরা। তারপর ফলাফল বেরোনোর পর যখন দেখা যায় ৩৪% আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় হাসিল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস,তখন ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে বিরোধীদের। প্রতিবাদ,প্রতিরোধের সঙ্গে রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক অধিকার উলঙ্ঘনের অভিযোগ জানিয়ে আদালতে মামলাি দায়ের করে বিরোধীরা। এর জেরে বেশ কিছুটা সময় স্থগিত থাকে ওই নিরঙ্কুশভাবে জয়ী আসনগুলোর পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া। পরে সেই মামলায় জিতে যায় রাজ্যসরকারই। তবে সেই ইস্যু নিয়ে এখনো চর্চা হচ্ছে রাজ্য রাজনৈতিকমহলে। সম্প্রতি তিনদিনের সফরে রাজ্যে এসেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ভেঙ্কটগোপাল গৌড়া। সেফ ডেমোক্র্যাসির তরফ থেকে তাঁর একসময়ের সহকর্মী বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় তাকে অনুরোধ করেছিলেন একটি তথ্য অনুসন্ধানী দল নিয়ে রাজ্য সফরের জন্য। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে বাংলার প্রাক্তন মুখ্যসচিব অধুনা দিল্লিবাসী অর্ধেন্দু সেন এবং যোজন কমিশনের প্রাক্তন সদস্যা সঈদা হামিদকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে রাজ্যে আসেন তিনি। এমনটাই জানা গিয়েছে। সফর শেষ করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে ভয়াভয় সন্ত্রাসমূলক কর্মসূচির জন্য রাজ্যসরকারের কড়া নিন্দা করলেন তিনি। জানালেন,তৃণমূল কংগ্রেস কীভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৪.৬২% আসনে জয় লাভ করল তার তথ্য অনুসন্ধানের জন্যেই একটি কমিটি গঠন করে রাজ্যে আসা হয়েছে। তিনদিনের সফরে বাম,কংগ্রেস,বিজেপির বহু প্রতিনিধিদের থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচন সক্রান্ত একাধিক অভিযোগ এসেছে রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে। কথা বলা হয়েছে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক এমন মানুষগুলোর সঙ্গেও। এরা অনেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাসের লিখিত নথি ছাড়াও প্রমাণ হিসাবে অডিও এবং ভিডিও ক্লিপংসও দিয়েছেন। এগুলো কাজে আসবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে এমনটাই জানান তিনি। এছাড়া দুই ২৪ পরগনা এবং হুগলির বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে ৪৫ টি ব্যক্তির একাধিক অভিযোগ এসেছে রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে। তবে রাজ্যসরকার এবং নির্বাচন কমিশন এই কমিটির সামনে বক্তব্য পেশ না করার হতবাক তিনি। জানালেন, মুখ্যসচিব এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে আগাম বার্তা দেওয়া সত্ত্বেও তাঁদের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা এবং মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার্থে তাঁদের যে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে সেটার ভ্রুক্ষেপই করছেন তাঁরা,অভিযোগের সুরে বললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। সঙ্গে এটাও জানালেন,চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করার আগে তাঁদের কাছে আরো একবার লিখিত বক্তব্য চাওয়া হবে। তখনও যদি তাঁরা নিশ্চুপ থাকেন,তাহলে সে কথা উল্লেখ করেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হবে। রিপোর্টে গোটা দেশের সামনে তুলে ধরা হবে বাংলায় সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারটি কতোটা রক্ষিত হয়! এমনটাই কড়া ভাবে জানালেন ভেঙ্কটগোপাো গৌড়া। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে উল্লেখ্য,পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল পরিমান আসনে তৃণমূলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়ে বিরোধীরা যে মামলা দায়ের করেছিল তা সুপ্রিম কোর্টে খারিজ কেন করা হয়? এই প্রশ্ন সাংবাদিকদের তরফ থেকে এলে জবাবে তিনি জানান,ওই রায়ে সন্ত্রাসের অভিযোগের সত্যতা নিয়ে একটাও মন্তব্য ছিল না। তাই খারিজ হয়েছে। এছাড়াও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালত সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে মামলাকারীদের। আপনার মতামত জানান -