এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > একটি পঞ্চায়েতেই ৮০ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ! এলাকা ছাড়া তৃণমূলের দাপুটে নেতারা!

একটি পঞ্চায়েতেই ৮০ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ! এলাকা ছাড়া তৃণমূলের দাপুটে নেতারা!

সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃনমূলের ভরাডুবি হওয়ার পরই দলে দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে, আর তার কারনেই যে ফলাফল খারাপ হয়েছে, তা বুঝতে পেরেই দুর্নীতি দমনে করতে ময়দানে নামতে দেখা যায় খোদ তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে। সূত্রের খবর, এবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপনের রামপাড়া চেঁচরা গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে ৮০ লক্ষ টাকা দুর্নীতিতে অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।

জানা গেছে, প্রাক্তন প্রধান, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জব সুপারভাইজারদের নামে অভিযোগ দায়ের হতেই এলাকায় তাদের আর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় সূত্রের খবর, এলাকার বিডিও তপন থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরই অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।

অন্যদিকে পুলিস এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত ১৬ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় তপন ব্লকের বাসিন্দাদের মধ্যেও তীব্র ক্ষোভ জমতে শুরু করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যাতে দ্রুত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তার জন্য রামপাড়া চেঁচরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করছেন।

এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরের ডিএসপি উদয় তামাং বলেন, “বিডিওর তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের হতেই আমরা গুরুত্ব দিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। দ্রুত তদন্ত শেষ করে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে তপনের তৃণমূল বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাঁচ্চু হাঁসদা বলেন, “দূর্নীতির সঙ্গে কোনও ভাবেই আপোস নয়। যাতে দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেই বিষয়ে পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।”

আবার এই বিষয়ে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ বিজেপির সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তৃণমূল পুরো দলটাই চোর। এমন দূর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের কাছে প্রমাণ থাকার পরেও কেন পুলিস ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা সবাই বুঝতে পারছে। দ্রুত এনিয়ে আমরা জেলাজুড়ে আন্দোলনে নামব।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপনের রামপাড়া চেঁচরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাবতৈল এলাকায় ৮০ লক্ষ টাকা কাজের দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসতেই জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই তপন ব্লকের বিডিও সুশান্ত মাইতি ১৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আর এই অভিযোগ দায়েরের পরই বিডিওর এক বছর না হতেই তাঁকে বদলি করাতেও তীব্র গুঞ্জন ছড়িয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিরোধীদের দাবি, শাসক দল তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কারণেই বিডিওকে বদলি করা হয়েছে। বিডিও অভিযোগ দায়ের করতেই এলাকার প্রাক্তন প্রধান সহ বাকি পঞ্চায়েত সদস্য ও জব সুপারভাইজার কারও দেখা মিলছে না। বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন, ১০০ দিনের কাজে অনেকের নাম থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে কাজ বা টাকা কেউ পাচ্ছেন না। স্বাভাবিকভাবেই 80 লক্ষ টাকা তছরূপের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকার অনেকের মধ্যেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। গ্রামবাসীরা ইতিমধ্যে একত্রিত হয়ে কেন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তার প্রশ্ন তুলে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন।

অন্যদিকে, প্রশাসনের কাছে দুনীতির প্রমাণ থাকলেও এই ঘটনায় যুক্ত সরকারি আধিকারিক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করায় জেলা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সব মিলিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই গা ঢাকা দিয়েছেন শাসকদলের দাপুটে নেতারা। তবে ঠিক কবে মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ,‌ এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!