প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে হবে, তা জানা নেই কারোরই। অনেকে বলছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নবজোয়ার যাত্রাতে বেরিয়েছেন। তিনি এই যাত্রা সম্পন্ন করার পরেই তৃণমূলের ইচ্ছামত হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তবে সেই নির্বাচনে যে ব্যাপক সন্ত্রাস হতে পারে, তা নিয়ে আশঙ্কা ছিলই। আর এবার রাজ্যে ক্রমাগত বোমা, বন্দুক এবং গুলির আওয়াজে সেই আশঙ্কার কথা প্রকটভাবে ব্যক্ত করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তার অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে না হয় এবং হলেও মানুষ যাতে ভোট দিতে না পারে, তার জন্যই এই ধরনের সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চলছে।

সূত্রের খবর, এদিন সকালে প্রাতঃভ্রমণ করতে বের হন দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই রাজ্যে ক্রমাগত ঘটে চলা ভয়াবহ বিস্ফোরণ নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এই বিজেপি নেতা বলেন, “এমনটা আশঙ্কা ছিলই। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে না হয় এবং সেই নির্বাচন হলেও যাতে সেখানে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া না হয়, তার জন্য এই ধরনের চেষ্টা হচ্ছে। সব জায়গায় বোমা, বন্দুক এবং গুলির পরিবেশ তৈরি করে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে। তবে এর বেশি তৃণমূল কিছু করতে পারবে না। কারণ কোর্ট এবং বিরোধীরা যেভাবে চেপে ধরেছে, তাদের আর কিছু করার নেই।”

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলছেন যে, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হবে। কিন্তু নির্বাচনের আগেই যেভাবে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, তাতে নির্বাচন সংগঠিত হলে যে সেই উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে, তা তো আশঙ্কার মধ্যেই রয়েছে। ফলে দিলীপ ঘোষ সেই আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করে নির্বাচনে জয়লাভ করতে তৃণমূল যে সব রকম পন্থা অবলম্বন করতে চলেছে, তা বোঝানোর চেষ্টা করলেন। ফলে দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্য এখন তৃণমূলকে কতটা চাপে রাখে বা তৃণমূল এর পরিপ্রেক্ষিতে কি বলে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।