প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট -বলিউডের ঠোঁট কাটা অভিনেত্রী হিসেবেই পরিচিত কঙ্গনা রানাউত। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে বলিউড নিয়ে যিনি বহুবার মুখ খুলেছেন। আর প্রতিবারই সামনে এসেছে বলিউডের কদর্য রূপ। বলিউড স্বপ্নের জগৎ। কিন্তু প্রতিটা ভালোর ভেতরেও যে একটা খারাপ লুকিয়ে থাকে, এক্ষেত্রে তার অন্যথা হয়নি। আর সেই কথা বলতে গিয়ে বলিউডের স্বজনপোষণ থেকে শুরু করে মাদক চক্র সবকিছুরই কথা উঠে এসেছে। সম্প্রতি সেই মাদক চক্র নিয়েই মুখ খুললেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত।

তাঁর কথায়, সুশান্ত সিং হয়ত বলিউডের সেই মাদক চক্রের কথা জানতে পেরেছিলেন। আর সেই কারনেই তাঁকে এভাবে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সুশান্ত মামলায় নারকোটিকস ব‍্যুরোকে তদন্ত করতে সবরকম সাহায‍্য করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে সেক্ষেত্রে তাঁর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নিরাপত্তা প্রয়োজন বলেও দাবি করেছেন তিনি। কারণ তাঁর কথায় মুখ খোলা মানে নিজের কেরিয়ারের পাশাপাশি প্রাণেরও বাজি রাখা।

একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এটাও জানান যে, তিনি যখন মানালি ছেড়ে মুম্বই আসেন তখন তাঁর বয়স মাত্র ষোলো বছর ছিল। সেইসময় এক মহিলার সঙ্গে থাকতেন তিনি। সেই মহিলা কঙ্গনাকে এক অভিনেতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন যিনি কঙ্গনাকে বলিউডে কাজ পাইয়ে দেবেন বলেন। পরে ওই অভিনেতা সেই মহিলা ও কঙ্গনার সঙ্গে একসঙ্গে থাকার পর, এক সময় ওই মহিলাকেই বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে কঙ্গনাকে একটি ঘরে প্রায় বন্দি করে রাখতেন। সেই ব্যক্তি নাকি কঙ্গনাকে বিভিন্ন পার্টিতে নিয়েও যেতেন। এমনসময় একদিন নেশাগ্রস্ত হয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হবার পর তিনি বুঝতে পারেন যে তাঁর পানীয়ে নিশ্চয়ই মাদক মেশানো হয়েছিল।

এছাড়াও দুবাইয়ের কয়েকজন ব‍্যক্তির সঙ্গে তাঁর আলাপ করানো হয়। সেই সব ব‍্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলতে ও তাদের নম্বর নিতেও বলেছিলেন নাকি ঐ অভিনেতা। সেই সময় তাঁকে হয়তো দুবাইতে পাচার করে দেওয়া হবে এমন ভয় পেয়েছিলেন তিনি। এমনকি তিনি বলিউডে সুযোগ পেয়ে যাওয়ায় নানা ভাবে তাঁকে কাবু করার চেষ্টাও করা হয় বলে জানা গেছে। তবে সেই সময় নাকি পরিচালক অনুরাগ বাসু তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিলেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। তাই নিজের এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা থেকে বলিউডের ভিতরের রূপ সম্পর্কে তাঁর যে ধারণা হয়েছে সেটাই তিনি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছেন বলেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।