২৪ ঘণ্টা পর অবশেষে পাওয়া গেল ইন্দোনেশিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স! অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিশেষ খবর January 10, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিমান দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর ইন্দোনেশিয়ার বিমানের ব্ল্যাক বক্সের অবস্থান নির্ণয় করা গেছে। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পরিবহন সুরক্ষা কমিটির প্রধানের তরফে কিছুক্ষন আগে এমনটাই জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। একটি জনৈক পত্রিকার প্রতিবেদনের সূত্রে আরো জানান হয়েছে যে, ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পরিবহন সুরক্ষা কমিটির প্রধান এই ব্ল্যাক বক্স খুব শীঘ্রই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছেন। আর ব্ল্যাক বক্স পাওয়া গেলে বিমান দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানা যাবে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। ব্ল্যাকবক্স মূলত ফ্লাইট রেকর্ডার হিসেবে পরিচিত, যেটি একটি ইলেকট্রনিক্স রেকর্ডিং ডিভাইস হিসেবে বিমানের মধ্যে প্রতিস্থাপন করা থাকে। এটির মাধ্যমে বিমান কখনো দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে পড়লে সেই বিমান কি কারনে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছিল তার সম্পর্কে এই রেকর্ডিং ডিভাইসের মাধ্যমে জানা যায়। সেই সঙ্গে এটি মূলত দু ধরনের হয়ে থাকে। একটি হলো এফডিআর বা ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার। আর অন্যটি হলো সিভিআর বা ককপিট ভয়েস রেকর্ডার। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এফডিআর হল প্রতি সেকেন্ডে সংগ্রহ করা কিছু প্যারামিটারের গুচ্ছ বা নির্দিষ্ট কিছু প্যারামিটারের সংগ্রহ যা বিমানটির সাম্প্রতিক ইতিহাস বোঝায়। আর সিভিআর বলতে পাইলটদের কথোপকথন সহ যাবতীয় ঘটনার বিবরণসমুহ বা রেকর্ডিং বোঝায়। সেখানে ককপিটে থাকা এই ব্ল্যাক বক্সে পাইলটদের সমস্ত কথোপকথন রেকর্ডিং হিসেবে থাকে। ফলে সেখানে দুর্ঘটনার পর ব্ল্যাক বক্স থেকে বিমানে দূর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। এছাড়া দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান থেকে ব্ল্যাক বক্সকে সহজে চিহ্নিত করার জন্য এটিকে কমলা রং করা হয় বলেও জানা যায়। আজ ইন্দোনেশিয়ার দুর্ঘটনগ্রস্ত বিমানের অনুসন্ধানের মধ্যে এই দুটি ব্ল্যাকবক্স খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জাকার্তা থেকে ওয়েস্ট কালিমন্টান প্রদেশের পন্টিয়ানাকের দিকে যাওয়া ৬২ জনের একটি বিমান ২টো ৪০ মিনিট নাগাদ সমস্ত সংযোগ হারায়। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ হাজার ফুটেরও উপরে ওই বিমানে ৫৬ জন যাত্রী ও ছ’জন কেবিন ক্রু ছিল। সেক্ষেত্রে বিমানে থাকা ৬২ জন যাত্রীরই মারা যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়। এরপর আজ সকালে এক মৎসজীবী সমুদ্রে বিমানটি পড়তে দেখেছে বলে দাবি করে। এরপর অনুসন্ধান প্রক্রিয়াও চলতে থাকে। এরপর বিমানের ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পাওয়াতে এবার আসলে কি হয়েছিল কাল তা জানা যাবে বলেই মনে করছেন সকলে। আপনার মতামত জানান -