এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পার্শ্বশিক্ষকদের স্থায়ীকরণ ও বেতন কাঠামো নিয়ে রাজ্যের চাপ বাড়াল এনসিটিই,

পার্শ্বশিক্ষকদের স্থায়ীকরণ ও বেতন কাঠামো নিয়ে রাজ্যের চাপ বাড়াল এনসিটিই,

আরটিআইয়ের মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, পার্শ্বশিক্ষকদের স্থায়ীকরণ এবং বেতন কাঠামো তৈরির বিষয়টি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত কিনা! অবশেষে এই ব্যাপারে নিজেদের মত জানিয়ে দিল স্কুল শিক্ষক নিয়োগে কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থা এনসিটিই।

বস্তুত, পার্শ্বশিক্ষকদের নেতা বলে পরিচিত অভিজিৎ ভৌমিক এই ব্যাপারে একটি সুনির্দিষ্ট তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। আর সেই প্রসঙ্গে গত বুধবার তার হাতে একটি চিঠি এসে পৌঁছয়। যেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়, পার্শ্বশিক্ষকদের স্থায়ীকরণ এবং বেতন কাঠামো তৈরির বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে রাজ্য সরকারেরই এক্তিয়ারভুক্ত।

বস্তুত, রাজ্য সরকার পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন সম্প্রতি কিছুটা বৃদ্ধি করলেও তা বেশ কিছু শিক্ষকদেরই মনঃপূত হয়নি। তাদের দাবি, বর্তমান সময়ে 10 থেকে 13 হাজার টাকায় সংসার চালানো অত্যন্ত কঠিন ব্যপার। পাশাপাশি বেতন বৃদ্ধি করা হলেও পাঁচ বছর অন্তর যে 3 শতাংশ ইনক্রিমেন্ট পার্শ্বশিক্ষকদের দেওয়া হত, তা বন্ধ করে দেওয়া হলে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।

অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত এসএসসিতে 10% সংরক্ষণ আইন জটিলতায় ঝুলে থাকায় সেই পার্শ্বশিক্ষকদের ক্ষোভ আরও বাড়তে শুরু করেছে। আর তাই এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে ঘুরপথে নয়, সরাসরি যাতে তাদের স্থায়ী করা হয়, তার জন্য সরব হতে শুরু করেছে পার্শ্বশিক্ষকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই পার্শ্বশিক্ষকদের স্থায়ীকরণ এবং বেতন কাঠামো তৈরির বিষয়টি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত বলে জানিয়ে দেওয়া হলে এই প্রসঙ্গে অভিজিৎ ভৌমিক বলেন, “যদি সত্যিই এই অধিকার রাজ্যের হাতে থাকে, তাহলে তো বলতে হয় রাজ্য সরকার টালবাহানা করছে। যেভাবে বলা হয়েছিল এনসিটিই বিধিনিষেধের কারনে আমাদের স্থায়ীকরণ হচ্ছে না, তা ঠিক নয়। আমাদের সরকার আলোচনায় ডেকে পাঠিয়েছে। এখন কি প্রস্তাব দেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি।”

এদিন এই প্রসঙ্গে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ বলেন, “প্যাবের সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে আমাদের কথা আলাদা করে উল্লেখ নেই। অর্থাৎ রাজ্য সরকার আমাদের স্থায়ী শিক্ষক হিসেবেই কেন্দ্রকে দেখাচ্ছে। আমরা এটাও দেখতে পাচ্ছি কেন্দ্রের ভাগের অর্থ আমাদের দেওয়া হচ্ছে। বেতনে রাজ্যের ভাগের অংশটি আমরা পাচ্ছি না। আমরা এটা নিয়ে পথে নামব।”

একাংশের মতে, পার্শ্বশিক্ষকরা সাধারণ শিক্ষকদের মতই কাজকর্ম করেন। ফলে তাদের যেভাবে বেতনের দিক দিয়ে বর্তমানে বঞ্চিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তাতে এবার যদি তারা রাজ্যের বিরুদ্ধে পথে নামে, তাহলে রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে পার্শ্বশিক্ষকদের সমস্যা মেটাতে রাজ্য সরকার ঠিক কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!