প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকদের নিয়ে নয়া নির্দেশিকায় ছড়াচ্ছে ক্ষোভ রাজ্য December 23, 2018 এবার রাজ্যের পার্শ্বশিক্ষকদের কাজের মূল্যায়নের রিপোর্ট চারবার রাজ্যের শিক্ষা অভিযান দপ্তরে পাঠানো নির্দেশ দিল সরকার। সূত্রের খবর, প্রতি বছরের জানুয়ারি, এপ্রিল, জুলাই ও অক্টোবর মাস নাগাদ রাজ্যের সমস্ত স্কুলের পার্শ্বশিক্ষকদের কাজের মূল্যায়ন সম্পর্কে একটি রিপোর্ট অবর বিদ্যালয় চক্রের এসআই এবং সহ বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঠিক কী কী কাজ থাকবে এই পার্শ্বশিক্ষকদের? আর এই পার্শ্বশিক্ষকদের কাজের মূল্যায়নই বা কিভাবে করা হবে সেই রিপোর্টে? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রাথমিক স্কুলের পার্শ্ব শিক্ষকদের মাসিক 10 হাজার এবং উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের পার্শ্ব শিক্ষকদের মাসিক 13 হাজার টাকা করে বেতন দেওয়া হয়। সরকারি নিয়মানুযায়ী, সপ্তাহের শুরুর দিন থেকে শুক্রবার পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন স্কুলের কুড়িটি ক্লাস নেওয়ার কথা রয়েছে এই পার্শ্বশিক্ষকদের। তবে শুধু ক্লাস নেওয়াই নয়, স্কুলছুট পড়ুয়াদের স্কুলে ফিরিয়ে আনার দায়িত্বও এই পার্শ্বশিক্ষকদের ওপরই বর্তায়। আর তাই এবারে সেই স্কুলছুট পড়ুয়াদের স্কুলে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সেই পার্শ্বশিক্ষকদের আরও সক্রিয় হওয়ার জন্য রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দিচ্ছে রাজ্য। জানা গেছে, গত 17 ই ডিসেম্বর এই ব্যাপারে রাজ্যের সমস্ত জেলার শিক্ষা অভিযান দপ্তর এবং পার্শ্ব শিক্ষক রয়েছে এই সমস্ত স্কুলে প্রধান শিক্ষকদের একটি চিঠি পাঠানো হয়। যেখানে স্পষ্ট ভাষায় বলে দেওয়া হয় যে, এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহেই এই পার্শ্বশিক্ষকদের পারফরম্যান্স সম্পর্কে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আর ওই মাসেরই দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে তা প্রধান শিক্ষকের হাত দিয়ে চলে যাবে এসআই বা এডিআইএর কাছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পরবর্তীতে সেই রিপোর্টটি এসআই বা এডিআই মারফত জেলা সমগ্র শিক্ষা দপ্তর অভিযানে পাঠানো হলে তা রাজ্যের প্রকল্প অধিকর্তার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যেখানে ফরম্যাট আকারে এই পার্শ্বশিক্ষকদের কাজের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস পার্শ্ব শিক্ষক সমিতির জেলা কনভেনার রাজ্যশ্রী মাইতি জানা বলেন, “বহু স্কুলেই পার্শ্বশিক্ষকদের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস দেওয়ার পাশাপাশি নানা ভাবে খাটিয়ে নেওয়া হয়। তাদের মূল্যায়ন ঠিক কীভাবে হবে! আমরা এই মূল্যায়নের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।” পাশাপাশি পার্শ্বশিক্ষকদের সাথে সাথে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদেরও মূল্যায়ন করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে কিছুটা বিরোধিতা করে নিখিল বঙ্গ পার্শ্ব শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক প্রশান্ত বেরা বলেন, “আমরা সম কাজে সম বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছি। তাই এই ধরনের রিপোর্ট চাওয়ায় আমরা ভীত নই। ন্যায্য অধিকারের দাবিতে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।” সব মিলিয়ে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে পার্শ্ব শিক্ষকদের নিয়ে নয়া নির্দেশিকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্যে। আপনার মতামত জানান -