এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার পার্শ্ব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের, জোর শোরগোল

এবার পার্শ্ব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের, জোর শোরগোল

দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের দাবি সহ বিভিন্ন বিষয়ে পার্শ্ব শিক্ষকদের আন্দোলন চলছে কলকাতার রাজপথে। যা নিঃসন্দেহে অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকারের। অনশন-আন্দোলনে রীতিমতো ঘুম উড়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের। সরকারের তরফে আন্দোলনকারীদের আন্দোলন থেকে উঠে আসবার জন্য অতীতে নানা আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজেদের দাবি থেকে সরে আসেননি আন্দোলনকারীরা।

আর এবার এই ঘটনায় সরকারের শিক্ষা দপ্তরের রোষানলে পড়তে হল সেই আন্দোলনকারীদের। জানা গেছে, বিধাননগরের আন্দোলন মঞ্চে উপস্থিত পার্শ্বশিক্ষকদের প্রচুর পরিমাণে বেতন কাটা হয়েছে। যেমন যে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের ব্যানারে আন্দোলন হয়েছিল, তার অন্যতম আহ্বায়ক মধুমিতা বন্দোপাধ্যায় মাত্র 376 টাকা বেতন পেয়েছেন।

পাশাপাশি এই মঞ্চের আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ পেয়েছেন মোট 21 দিনের বেতন। আর সরকারের তরফ থেকে এত কম বেতন পাওয়ায় এখন রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে সেই আন্দোলনকারী পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে। জানা যায়, প্রায় 32 দিন ধরে পার্শ্ব শিক্ষকদের এই আন্দোলন চলে আসছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে এই আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের সরকারের তরফ থেকে হুঁশিয়ারী দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, স্কুলে অনুপস্থিত থাকে তাদের বেতন কাটা যেতে পারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আন্দোলনকারীরা সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ করেনি। তবে এবার আন্দোলনকারীদের বেতন অনেকটাই কম পাওয়ায়, আবার কেউ বা কোনো বেতন না পাওয়ায় তৈরি হয়েছে সমস্যা। জানা গেছে, কোচবিহারে 139 জন, দার্জিলিঙে 70 জন এবং নদীয়ার 265 জন নামমাত্র বেতন পেয়েছেন। আর এখানেই আন্দোলনকারীদের মনে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

অনেকেই বলছেন, তাহলে কি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা অপরাধ! আর তাই কি নিজেদের দাবি আদায় করতে গিয়ে তাদের সারা মাসের বেতন কেটে নিল রাজ্য সরকার! এদিন এই প্রসঙ্গে বর্ধমান বিদ্যার্থীভবন হাইস্কুলের পার্শ্ব শিক্ষিকা মধুমিতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, “আমি মাত্র 376 টাকা বেতন পেয়েছি। সরকার যে এতটা কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে, তা সত্যিই আন্দাজ করতে পারিনি।”

এদিকে এই ব্যাপারে রানবন্দ সেন্ট মেরিজ হাইস্কুলের শিক্ষক ভগীরথ ঘোষ বলেন, “আমাদের বলা হয়েছিল, ক্যাজুয়াল লীভ, মেডিকেল লিভের সঙ্গেই ছুটিগুলো অ্যাডজাস্ট করে দেওয়া হবে। আমাদের অনেকেরই ছুটি রয়েছে। তা সত্ত্বেও 21 দিনের বেতন পেয়েছি। এই বেতনের আর্থিক ক্ষতি হত আমি সামলে নিতে পারব। কিন্তু এর জন্য আমার পিএফ কম জমা পড়বে। সেই সুদ-আসল থেকে বঞ্চিত হব। পেনশনের টাকা কমে যাবে। ফলে ক্ষতিটা সুদুরপ্রসারী। আমরা সমগ্র শিক্ষা অভিযানের রাজ্য প্রকল্প অধিকর্তার কাছে অভিযোগ জানাতে যাব।”

সত্যিই তো তাই! তাহলে কি বাংলায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন উঠে যেতে চলেছে! সরকারের কাছে দাবি দাওয়া জানাতে গিয়ে যদি পার্শ্ব শিক্ষকরা আন্দোলন করে, তাহলে তাদের বেতন কাটা হচ্ছে কেন! সরকারের এহেন আচরণ নিয়ে নানা মহলে প্রশ্নটা কিন্তু উঠতে শুরু করেছে। এখন এই প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা দপ্তর ঠিক কি প্রতিক্রিয়া দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!