এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > আট বছর শাসন চালিয়ে এখনও পার্শ্বশিক্ষকদের হালের জন্য বাম আমলকেই হাতিয়ার শিক্ষামন্ত্রীর!

আট বছর শাসন চালিয়ে এখনও পার্শ্বশিক্ষকদের হালের জন্য বাম আমলকেই হাতিয়ার শিক্ষামন্ত্রীর!

 

বেশ কিছুদিন হয়ে গেল, রাজ্যে পার্শ্ব শিক্ষকদের অনশন চলছে। প্রচুর পার্শ্বশিক্ষক এবং শিক্ষিকা সেই অনশনে যোগ দিয়েছেন। বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিক্ষামূলক সংস্থাগুলো সেই পার্শ্ব শিক্ষকদের অনশন মঞ্চে গিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো বার্তা দিলেও এখনও পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সদর্থক বার্তা মেলেনি। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।তবে  পার্শ্বশিক্ষকদের এই অবস্থার জন্য এবার বিগত বাম সরকারকেই দায়ী করে বসলেন রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

 

বস্তুত, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের আর্থিক দেনা নিয়ে বিগত বাম আমলকে দায়ী করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার পার্শ্বশিক্ষকদের এই দুর্গতি পূরণের জন্য নিজেদের পক্ষ থেকে উদ্যোগ না নিয়ে উল্টে বিগত সরকারকে দায়ী করায় রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, শনিবার দুপুরে ডায়মন্ডহারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিবাসের উদ্বোধন করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর সেখানেই পার্শ্বশিক্ষকদের এই সমস্যা নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে বিগত বাম সরকারের অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেন পার্থবাবু।

রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “বাম আমলে অসীমবাবু বিভিন্ন পদের নাম করে বিধিবহির্ভূতভাবে একের পর এক শিক্ষক নিয়োগ করে গিয়েছেন। তার চাপ এখন আমাদের ওপর পড়ছে। আমাদের সরকারের সময়ে এভাবে কখনই শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি। পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রতি রাজ্য সরকার সহানুভূতিশীল। কিন্তু তাদের দাবি-দাওয়া পূরণের জন্য যত টাকার প্রয়োজন, তা কে দেবে! মন্ত্রী হিসেবে আপনাদের কাছে যদি টাকা কোথা থেকে জোগাড় হবে তা জানতে চাই, আপনারা উত্তর দিতে পারবেন!”

আর শিক্ষামন্ত্রীর এরূপ মন্তব্য নিয়ে এখন নানা মহলে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, যদি পার্থবাবু শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব নিয়ে তা সামলাতে না পারেন, তাহলে অপরাধটা কার? সমস্যা তো আসবেই। আর সেই সমস্যা সমাধানের জন্যই তো এত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক! তাহলে সেই সমস্যার সমাধান না করে পূর্বসূরির ঘাড়ে দোষ দিয়ে কি পার পাওয়া যায়! এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে সমালোচক মহলের একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এদিন এই মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীনিবাসের উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় এত দ্রুত কাজ করবে, তা ভাবা যায়নি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিধানসভায় আমাকে বলেছেন অনেক গালিগালাজ খেতে হয়েছে। কেউ বলেছে, ভাঙ্গা বাড়ি, কেউ বলেছেন ওখানে সাপের আড্ডা। এসব বলার আগে মন্তব্যকারীরা একবার চোখেও দেখেন না।” তবে কাজ যে কিছুটা বাকি রয়েছে তা এদিন সকলের সাথে কথা বলে উপলব্ধি করেন শিক্ষামন্ত্রী।

এদিকে এদিনের এই অনুষ্ঠানের পর আলাদাভাবে সংবিধান দিবস রাজ্যপাল পালন করায় সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিনিধি পাঠানো হবে কিনা, তা নিয়ে পার্থবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “বিধানসভায় একটাই অনুষ্ঠান হবে। ওটাই সরকারি অনুষ্ঠান। সেখানে রাজ্যপাল আসবেন। তারপরে যদি কেউ আলাদাভাবে চা খেতে চান, তা করতেই পারেন।”

তবে এদিন ডায়মন্ডহারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আবাসের উদ্বোধন করতে গিয়ে পার্থবাবুর নানা বক্তব্যের মাঝে পার্শ্বশিক্ষকদের দুরাবস্থা নিয়ে বিগত বাম সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেওয়ার মন্তব্য অত্যন্ত নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই বলছেন, সরকারের উচিত এখন দ্রুত পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থাটি মানবিক দিক দিয়ে বিবেচনা করা। কিন্তু তা না করে যেভাবে এদিন সরকারের শিক্ষামন্ত্রী বিগত সরকারকে যেভাবে কাঠগড়ায় তুললেন, তাতে তাদের সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!