এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রাক্তন মন্ত্রীদের নিয়ে নয়া ভাবনা মমতার, গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো নিয়ে জল্পনা!

প্রাক্তন মন্ত্রীদের নিয়ে নয়া ভাবনা মমতার, গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো নিয়ে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  এর আগে 2016 সালে দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে বেশ কিছু মন্ত্রী পরাজিত হয়েছিলেন। যার পরে কার্যত আফসোস করতে হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে কাজের গতি আনার ক্ষেত্রে সেই সমস্ত প্রাক্তন মন্ত্রীদের তিনি যে জায়গা দেবেন, তা জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মত করে বেশ কিছু প্রাক্তন মন্ত্রীকে বেশ কিছু দপ্তরের দায়িত্ব দিয়েছিলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। আর তৃতীয়বার তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসলেও, বেশকিছু হেভিওয়েট মন্ত্রীকে পরাজিত হতে হয়েছে।

অনেকে আবার টিকিট পাননি। তাই সেই সমস্ত হেভিওয়েট প্রাক্তন মন্ত্রী এবং যারা টিকিট পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের এবার বড়সড় জায়গা দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে রাজ্যের শাসক দল। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নাম সামনে আসতে শুরু করেছে। গৌতম দেব থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, মন্টুরাম পাখিরা থেকে শুরু করে নির্মল মাঝি, এই সমস্ত হেভিওয়েটরা নিজেদের অতীতের কাজের ভিত্তিতে এবারের সরকারে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পেতে পারেন।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, এবারের নির্বাচনে হেরে যাওয়া বা টিকিট দিতে না পারা রাজ্যের প্রাক্তন 15 জন মন্ত্রীকে বিভিন্ন সরকারী কমিটিতে জায়গা দেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যেই সেই তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীদের কাজের অভিজ্ঞতা যে তিনি অন্য কোনো দিক দিয়ে কাজে লাগাতে চান, তার জন্যই তৃণমূল নেত্রীর এই উদ্যোগ বলে মনে করছেন একাংশ।

কিন্তু কারা কারা রয়েছেন সেই তালিকায়? একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ রাজ্যের প্রাক্তন তিনমন্ত্রী এবারের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছেন উত্তরবঙ্গের গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। আর এই তিন হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে যে কোনো একজনকে উত্তরবঙ্গ পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইভাবে শান্তিরাম মাহাতো বা শ্যামল সাঁতরার মত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীদের জায়গা দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে মন্টুরাম পাখিরাকে। এছাড়াও পূর্ণেন্দু বসু থেকে শুরু করে রত্না কর ঘোষ এবং নির্মল মাঝিকে নিয়েও গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, ইতিমধ্যেই টিকিট না পাওয়ার কারণে তৃণমূল ছেড়ে অনেক হেভিওয়েট নেতা, এমনকি প্রাক্তন মন্ত্রীরা গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছেন। কিন্তু আবার তাদের মধ্যে অনেকে তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করছেন। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল তাদের গ্রহণ করবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। তবে যারা এখনও পর্যন্ত দলে রয়েছেন এবং হেরে গিয়েছেন, তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অর্থাৎ তাদের ধৈর্য সহকারে দলে থেকে যাওয়ার পুরস্কার যে তৃণমূল নেত্রী দিতে চাইছেন, তা কার্যত এই উদ্যোগের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার। যার ফলে এবারের নির্বাচনে পরাজিত হয়ে যাওয়া রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট প্রাক্তন মন্ত্রী বড় কোনো জায়গা পেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

অর্থাৎ সরকারি দপ্তর থেকে শুরু করে বিভিন্ন কমিটির চেয়ারম্যান, নির্বাচনে পরাজিত হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত পরাজিত হয়ে যাওয়া বা টিকিট না পাওয়া নেতা-নেত্রীদের মধ্যে কাদের ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!