জুলাই-এর মঞ্চে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেস এর পাঁচ বিধায়ক জানালেন পার্থ রাজ্য July 21, 2018 লোকসভা ভোটের আগেই রাজ্য কংগ্রেসের সংগঠনের মূলে আঘাত হানতে সফল শাসকদল। ২১-এর মঞ্চ থেকে এমনটাই বার্তা দিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অধীর রঞ্জন চৌধুরীর চারজন সহযোদ্ধা দল ছেড়ে জোড়াফুলশিবিরের টিকিট কাটতে চলেছেন। মালদার মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন,মুর্শিদাবাদেরর রঘুনাথগঞ্জের আখরুজ্জামান,নওদার বিধায়ক আবু তাহের,কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার ও রাতুয়ার বিধায়ক সময় মুখোপাধ্যায়। কংগ্রেসের সঙ্গে এতোদিনের সমস্ত রকম সম্পর্ক ছিন্ন করে নির্দ্বিধায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরলেন কংগ্রেসের এই চারজন দাপুটে নেতা। একে তো গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জ্বালায় নাকানিচোবানি খাচ্ছে রাজ্য কংগ্রেস তার উপর গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো দলে দলে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে পাড়ি জমাচ্ছেন নেতৃত্বরা। এমতাবস্থায় দিশেহারা রাজ্যকংগ্রেসের ভবিষ্যত। এই মুহূর্তে দলীয় অন্দরে চাপানউতোর তুঙ্গে রয়েছে। এদিন সভাস্থলে দাঁড়িয়েই পার্থবাবু ঘোষণা করলেন এই মঞ্চেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘাসফুল দলে আসছেন কংগ্রেসীরা। আসলে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গী হতেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকেই এঁরা তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে নেবেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। উল্লেখ্য, এই চার বিধায়কের মধ্যে অপূর্ব সরকার ওরফে ডেভিড আগেই তৃণমূলে ভীড়েছিলেন। এদিন শুধু খাতায় কলমে নাম তুলবেন এই যা। গতবারই এঁদের অনেকেই নাকি কিড স্ট্রীটের এমএলএ হোস্টেলে তৈরি হয়েই বসেছিলেন। কিন্তু সেবার কোনো এক ইস্যুর কারণে কার্যসিদ্ধি হয়নি। এমনটাই জানা যাচ্ছে রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে। এদিকে,দলের কর্মী-সমর্থকরা একে একে কংগ্রেস ছেড়ে চলে যাওয়াতে বেশ উদ্বেগে রয়েছেন জাতীয় কংগ্রেস সুপ্রিমো রাহুল গান্ধী। দলীয় কোন্দল যে চরমে পৌছেচে সে খবরও গেছে রাহুলের কানে। তাই লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যকংগ্রেসীদের সংগঠনকে চাঙ্গা করতেই তিনি তরুণ সাংসদ গৌরব গগৈকে প্রদেশ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক করে বঙ্গে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ হল না কিছুই। কংগ্রেসের শক্তি ক্ষয় হচ্ছে ক্রমশ। পর্যবেক্ষকমহলের অনেকেই এরজন্য দোষারোপ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীরকে । তাঁর একরোখা মনোভাবের কারণেরই নাকি দল ছাড়ছেন সহকর্মীরা। তবে এটাও সত্যি বছরের পর বছর ২১-এর মঞ্চে দাঁড়িয়েই কংগ্রেসের ভাঙন ঘটিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও এমনটাই হতে চলেছে। আপনার মতামত জানান -