কর্মরত শিক্ষকদের ফের পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগে বেতন বৈষম্য, সংবাদমাধ্যমের কাছে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী রাজ্য December 18, 2018 বাড়ির কাছাকাছি যাতে স্কুল পাওয়া যায় সেজন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের এসএলএসটিতে বসতে বাধ্য হয়েছিলেন শিক্ষকেরা। প্রথমে রাজ্য সরকার এই ব্যাপারে আপত্তি জানালেও পরে আদালতের নির্দেশে পরীক্ষা দিয়ে এই শিক্ষকরা পাস করে নিজেদের পছন্দ মত স্কুল পেয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে যে সমস্ত শিক্ষকেরা নতুন নিয়োগ হয়েছেন ঠিক তাদের মতনই বেতন পাচ্ছেন এই কর্মরত শিক্ষকেরা। আর যার জেরে আর্থিকভাবে প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের একাংশ। ইতিমধ্যেই উত্তর 24 পরগনার ব্যারাকপুর ডিআই অফিস থেকে বাড়তি বেতন পাওয়ার শিক্ষকদের টাকা আগামী 20 শে ডিসেম্বরের মধ্যে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূমের মতো জেলাগুলিতে শিক্ষকদের বর্ধিত বিতরের রিকুইজিশন শিক্ষা দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই সেই শিক্ষকদের পে ফিক্সেশন করে ডিআই অফিস থেকে সেগুলি বিকাশ ভবনেও পৌছে গিয়েছে। আর এখানেই অনেকের প্রশ্ন যে এই কর্মরত শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে একেক জেলায় একেক রকম নিয়ম হচ্ছে কেন? এদিন এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমার কাছে এই ব্যাপারে কোনো খবর নেই। যে শিক্ষকরা সংবাদমাধ্যমের কাছে যাচ্ছেন, তাদের আগে আমাদের কাছে আসতে বলুন।” এদিকে কাছাকাছি স্কুল পেয়েও কেন এতটা কম বেতনে কাজ করতে হবে সেই ব্যাপারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সম্পাদক অনিমেষ হালদার। অন্যদিকে এই ব্যাপারে শিক্ষক নেতা স্বপন মন্ডল বলেন, “বেশ কয়েক ধরনের শিক্ষক এই সমস্যায় পড়েছেন। অভিজ্ঞতার জন্য তাদের বেতন বৃদ্ধি হয়ে সেটা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে প্রারম্ভিক বেতনের চেয়ে অনেকটাই বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তাদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিকের কর্মরত শিক্ষকরা তো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এদিকে কর্মরতদের নিয়োগপত্রে নতুন স্কুলে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্র হিসেবে পূর্ববর্তী স্কুলের রিলিজ লেটার প্রমাণ হিসেবে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, অভিজ্ঞতার হিসেব নেওয়া হলেও কেন বেতনের ক্ষেত্রে বঞ্চিত করা হচ্ছে এই কর্মরত শিক্ষকদের? সব মিলিয়ে কর্মরত শিক্ষকদের পরীক্ষা দেওয়া ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও বেতন বৈষম্য নিয়ে ফের সরব হচ্ছে তাঁরা। আপনার মতামত জানান -