এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ‘কুকথা ও হুমকির’ পাল্টা দিয়ে এবার আসর জমালেন পার্থ চ্যাটার্জি

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ‘কুকথা ও হুমকির’ পাল্টা দিয়ে এবার আসর জমালেন পার্থ চ্যাটার্জি


এবার ফের সম্মুখ সমরে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের বিজেপিকে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করলেন তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, রাজ্যে বিজেপির “গণতন্ত্র বাঁচাও” নামক রথযাত্রা নিয়ে প্রচুর পরিকল্পনা থাকলেও আইনি জটিলতার জেরে তা এখন কার্যত থমকে গেছে।

আর তার পরিপ্রেক্ষিতে জেলায় জেলায় সভা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও পুলিশ প্রশাসনকে একযোগে তীব্র কটাক্ষ করছেন। রাজ্যে তাঁদের এই রথযাত্রায় বাধা সৃষ্টি হলে তাঁরা যে কাউকে ছেড়ে কথা বলবেন না, তা প্রতিটা সভাতেই স্পষ্ট করে দিচ্ছেন দিলীপবাবু। আর এমতাবস্থায় চুপ করে বসে না থেকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও এবার দিলীপবাবুর মন্তব্যের পাল্টা দিতে মাঠে নেমে পড়ল।

একদিকে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে পুলিশ খুন আর অন্যদিকে বিজেপির রথযাত্রা আটকানো নিয়ে দিলীপবাবুর ‘হুমকি’ প্রসঙ্গে এদিন গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে তৃনমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, “ওদের ক্ষমতা থাকলে জনতার আদালতে আসুক। অতীতে যেভাবে মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে, এবারেও করবে। ওরা হতাশা থেকেই রাজ্যে অশান্তি পাকানোর জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে”।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ‘কুকথা ও হুমকি’ প্রসঙ্গে এদিন মুখ খোলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “ওরা শুধু কুকথায় ভর করছে। আসলে ওদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই এভাবেই প্রচারে ভেসে থাকতে চাইছে”। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে সম্প্রতি এক পুলিশ কর্তাকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় দেশজুড়ে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়। এদিন সেই প্রসঙ্গেও বিজেপিকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি পার্থবাবু।

বাংলার তৃণমূল সরকারের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের তুলনা করে তিনি বলেন, “বাংলায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। তাই এই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলা বিজেপির শোভা পায় না। মানুষ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা রেখেছেন। কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্যে একের পর এক পুলিশ খুন হয়ে চলেছে”। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই প্রমাণিত – বর্তমানে, এই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের নাম বিজেপি। আর তাই বিজেপি শাসিত রাজ্যের ঘটনায় হোক বা বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে আক্রমন – রাজ্যের শাসকদল প্রতিটি পদক্ষেপে সেই প্রমাণই দিয়ে দিচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!