এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি পর্ষদে! নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের

লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি পর্ষদে! নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা, কোনো জায়গাতেই তার সরকার দুর্নীতি বরদাস্ত করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথে হেঁটেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নিরপেক্ষ তদন্তের কথা জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জানা গেছে, এই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের 26 লক্ষ টাকার বেশি আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছে বলে অভিযোগ।

যেখানে অন্যতম অভিযুক্ত দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিযুক্ত কর্মী সিন্ধু কয়ালকে অন্য বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু আরেক অভিযুক্ত স্থায়ী কর্মচারী আব্দুল মুনির তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য পর্ষদ সভাপতির দ্বারস্থ হন। আর এরপরই বিভিন্ন কাজের জন্য তাকে নগদ লেনদেন সেকশনে ফিরিয়ে আনা হয়। এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই দুই ব্যক্তির মধ্যে প্রবল যোগসাজশের ইঙ্গিত পায় একাংশ।

অভিযোগ, সেই সিন্ধু কয়াল যখন টাকা জমা দিয়ে ব্যাংকের স্লিপ মুনিরকে দিতে চায়নি, তখনই সে পর্ষদের এক শীর্ষ আধিকারিককে গোটা ঘটনা জানায়। তবে পাল্টা সিন্ধু কয়াল দাবি করেন যে, তিনি সেই স্লিপ দিতে চাইলেও আব্দুল মুনির তা গ্রহণ করেননি। আর এরপর চল্লিশটির মত স্লিপ সেই সিন্ধু কয়াল এক শীর্ষ আধিকারিকের হাতে তুলে দিলে অনেক স্লিপে কাটাকুটি দেখতে পান সেই আধিকারিক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, অনেক স্লিপ তিন লক্ষ টাকা কেটে চার লক্ষ টাকা করা হয়েছিল। আর এরপরই সেই শীর্ষ আধিকারিক সিন্ধু কৎয়ালকে প্রশ্ন করেন যে, এইরকম কাটাকুটি করা স্লিপ ব্যাংক কি আদৌ মান্যতা দেয়! তখন সিন্ধু কয়াল বলেন, সেটা ব্যাংকের ডিলিং ক্লার্ক বুঝবে। আর এরপরই গোটা ঘটনায় ব্যাপক গড়মিলের অভিযোগ পাওয়ায় প্রবল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এখনও পর্যন্ত গরমিলের অঙ্ক 26 লক্ষ টাকা পর্যন্ত এসেছে বলে অভিযোগ।

আর এই পরিস্থিতিতে সেই দুর্নীতি যে কোনোভাবেই রোধ করা হবে না, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, শনিবার পর্ষদের টেস্ট পেপার প্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এমন একটি তদন্ত কমিটি করা হবে, যেখানে পর্ষদের কেউ থাকবে না। আর ওই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশ যা ব্যবস্থা নিচ্ছে নিক, কিন্তু যেহেতু তারা পর্ষদের কর্মী, তাই তাদের পর্ষদ সাসপেন্ড করুক।”

এদিকে এদিনের এই অনুষ্ঠান থেকেই কেন এখনও সেই সমস্ত ব্যক্তিদের সাসপেন্ড করা হয়নি, তা নিয়ে পর্ষদ সভাপতি কল্যাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করেন পার্থবাবু। উত্তরে কল্যানবাবু জানান, সাসপেনশনের বিষয়ে অ্যাডহক কমিটির বৈঠকে পাস করাতে হবে। যে বৈঠক আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। আর এরপরই পর্ষদের প্রশাসনিক কর্তা হিসেবে আপনিই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে তাকে জানিয়ে দেন মন্ত্রী মহোদয়।

সাথে সাথেই তাতে সম্মতি দেন কল্যান গঙ্গোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে পর্ষদের দুর্নীতি যে তার চোখ এড়ায়নি এবং এই দুর্নীতি যে কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, তা পর্ষদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সকলকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, পর্ষদের বুকে এই ধরনের লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি সামনে আসায় – তা নিয়ে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি যে প্রকট হল তা মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!