তদন্তে ‘অন্য কারণ’ উঠে এলেও জয়নগর থেকে আদ্রা সর্বত্রই তৃণমূল কর্মী খুনে ‘গেরুয়া আতঙ্ক’ দেখছেন তৃণমূল মহাসচিব নদীয়া-২৪ পরগনা পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য December 15, 2018 দু’দিনের মধ্যে দুই জায়গায় চার তৃণমূল কর্মী খুন নিয়ে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, একদিকে বিরোধীদের দাবি শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই খুন। অন্যদিকে তৃণমূল দোষী করছে বিজেপিকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর ও পুরুলিয়ার আদ্রায় তৃণমূল কর্মী খুনের প্রসঙ্গে শুক্রবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় নাম না করে সরাসরি বিজেপিকে দায়ী করেছেন। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে, মানুষের কাছে বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে গেরুয়া শিবির এখন রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তৃণমূল কর্মীদের আক্রমণ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কুৎসা ছড়াচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুদিন আগে জয়নগরে ৩ তৃণমূল কর্মী খুনের পর এদিন পুরুলিয়ার আদ্রায় তৃণমূলের আর এক কর্মী খুন হন।বিরোধীদের অভিযোগ, দুটি ঘটনার পেছনে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সক্রিয়। নিজেদের অন্তর কলহের জেরে বলি হয়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে তাছাড়া বিরোধীদের দাবি, পুলিশি তদন্তে বারবার উঠে আসছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা। কিন্তু, এদিন বিরোধীদের অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে উড়িয়ে দিয়ে পার্থবাবু দাবি করেন, সারা রাজ্য ভাসছে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের জোয়ারে। উন্নয়নকে অস্ত্র করে গোটা পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরা। সেই কর্মকাণ্ডে বাধা দিতে এবং ভোটের আগে মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতেই গেরুয়া শিবির পরিকল্পনা মাফিক এই সব কাজ করছে। একই সঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব এদিন জয়নগরে আরএসএসের অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবির চালানোর অভিযোগও তোলেন। কিছুদিন আগে ওঠা এই অভিযোগকে টেনে এনে তিনি বলেন, “জয়নগরে কারা অস্ত্র আমদানি করছে, তা মানুষ ভালো করেই জানে”। তাঁর মতে, এভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করে তৃণমূলকে আটকানো যাবেনা। পার্থবাবুর আরও দাবি, কুৎসাকারীরা বারবার জনগণের দরবারে প্রত্যাখ্যাত হয়ে রাজ্যে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু রাজ্যবাসীর নিরাপত্তার খাতিরে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন সদা সচেতন তাই রাজ্যে কোনো অশান্তি পাকাতে পারবে না গেরুয়া শিবির। যদিও বিরোধীরা পার্থবাবুর এ অভিযোগ মানতে নারাজ। উল্টে তাঁরা বরাবরই এ ঘটনাগুলির পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই ইঙ্গিত করছেন। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশি তদন্তে তো শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আপনার মতামত জানান -