এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বেজে গেল ২১এর মহাযুদ্ধের দামামা! ২৯৪ বিধানসভা আসনের জন্যই স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে ফেললেন মমতা

বেজে গেল ২১এর মহাযুদ্ধের দামামা! ২৯৪ বিধানসভা আসনের জন্যই স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে ফেললেন মমতা


রাজ্যে একদিকে চলছে করোনা আবহ, তার উপরে আছড়ে পড়েছে আমপানের তান্ডব। এই অবস্থায় প্রাথমিকভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করেছিলেন, কেউ যেন রাজনীতি না করেন। এই কঠিন সময়ে সকলকেই মানবিক হয়ে উঠতে হবে। অথচ তাঁর দলের দিকেই রাজনীতি করার জন্য আঙুল তুলতে শুরু করেন বিরোধীরা। কিন্তু, এবার তৃণমূলের তরফে যে সরকারি বিবৃতি সামনে এল, তাতে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন – একুশের বিধানসভা মহাযুদ্ধের দামামা বেজেই গেল।

আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় রীতিমত তুলোধোনা করেন যুযুধান প্রতিপক্ষ বিজেপিকে। পার্থবাবু জানান, করোনা-আমফানের মতো সংকটজনক পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল কাজকে খাটো করে দেখানোর ক্রমাগত প্রচেষ্টা চলছে। দুঃসময়ে রাজনীতি করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপরেই জল্পনা বাড়িয়ে পার্থবাবু জানান, বিজেপির এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রাজ্যের ২৯৪ টি কেন্দ্রেই পালটা প্রচারে নামবে তৃণমূল। তার রূপরেখা নিজে ঠিক করে দিয়েছেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর পার্থবাবুর এই কথাতেই স্পস্ট – এখন থেকেই বিধানসভা ধরে ধরে প্রচারে ঝড় তুলতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যেহেতু বিধানসভা নির্বাচনের আর ১ বছরও বাকি নেই, তাই এই মহাযুদ্ধে করোনা ও আমপান এবার অন্যতম ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হতে চলেছে।

আর তাই কোনোরকম ঝুঁকি না নিয়েই, এই কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেদের কাজের খতিয়ান নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে ঝড় তুলতে চাইছে তৃণমূল। পার্থবাবু এদিন আরও বলেন, বিজেপি নেতাদের সাম্প্রতিক মন্তব্যে স্পষ্ট যে রাজ্যের মমতা সরকারের ভূমিকা খাটো করে দেখানোই তাঁদের লক্ষ্য। করোনা মোকাবিলায় বাংলা নিজে যেভাবে লড়ছে, সেই কৃতিত্ব স্বীকার না করে একাধিক উলটে অপপ্রচার করেছে বিজেপি। ইচ্ছে করে বাংলায় ত্রুটিপূর্ণ টেস্ট কিট পাঠানো হয়েছে, তারপরও বাংলায় করোনায় মৃত্যুর হার অনেক কম।

সব মিলিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, পার্থবাবুর ঘোষণা মত বিধানসভা ধরে ধরে তৃণমূল প্রচারে ঝড় তুলতে গেলেই – বিরোধীরাও ঘরে বসে থাকবেন না। তাঁরাও পাল্টা প্রচারে ঝড় তোলার চেষ্টা করবেন। প্রসঙ্গত, করোনা আবহে জমায়েতে বাধা থাকায় প্রাক্তন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ৮ তারিখ ভার্চুয়াল জনসভা করবেন। যে সভা থেকে বিজেপির প্রচারের দিশাও স্পষ্ট হতে পারে। আর তাই, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে এবার কাঠি পরেই গেল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!