আগামী শিক্ষাবর্ষেই রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় নয়া পরিবর্তন, জেনে নিন কলকাতা রাজ্য October 25, 2019 দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যে পাশ ফেল প্রথা নিয়ে গুঞ্জন চলছে। অবশেষে এবার রাজ্যের স্কুলগুলোতে ফিরে আসছে সেই বহুপ্রতীক্ষিত পাশ ফেল প্রথা। প্রসঙ্গত , রাজ্যের প্রাক্তন প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর আমল থেকেই প্রথম শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পাশ ফেল প্রথা উঠতে শুরু করে। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে অধিকার আইন মোতাবেক প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত “নো ডিটেনশন” চালু করা হয়। যে আইনে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কোনো ছাত্রছাত্রীকে একই ক্লাসে আটকে রাখা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে 2009 সালে আবার সেই আইন তিন বছর পর মান্যতা পাওয়ায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের পরামর্শে কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই জায়গার সরকারই এই বিষয়টিতে সংশোধনী আনার কথা ভাবতে শুরু করেন। আর এবার রাজ্যের বর্তমান তৃণমূল সরকারের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্কুলগুলোতে যে পাশ-ফেল প্রথা চালু করা হতে পারে, তার পক্ষে সওয়াল করায় সেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে পাশ- ফেল প্রথা ফিরে আসছে বলে প্রবল গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ল। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে নবান্ন থেকে বিকাশ ভবনে একটি সবুজসংকেত চলে এসেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, পঞ্চম শ্রেণী এবং অষ্টম শ্রেণীতে আর নো ডিটেনশন থাকবে না। তবে ব্যর্থ পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসার জন্য একবার সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু তাতেও যদি তারা উত্তীর্ণ না হতে পারেন, তাহলে তাদের আগের ক্লাসেই রেখে দেওয়া হবে বলে খবর। কিন্তু নো ডিটেনশনের পক্ষে আবার সওয়াল করতে দেখা গেছে বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনগুলোকে। এদিন এই প্রসঙ্গে বাম শিক্ষক নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, “নয়া ব্যবস্থায় স্কুল ছুটের সংখ্যা বাড়বে।” অন্যদিকে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু। এদিন তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা চিঠি দিয়ে আবেদন করেছিলাম কোনো পড়ুয়া অকৃতকার্য হলে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার মাধ্যমে তাকে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হোক। প্রস্তাবটি মান্যতা পাওয়ায় রাজ্যের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।” এদিকে এই প্রসঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষকও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, “রাজ্য সরকার পাশ-ফেল ফিরিয়ে আনার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমবাংলার শিক্ষাপ্রেমি, শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এই পাশ ফেল ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করেছিলেন। এই সিদ্ধান্ত সেই আন্দোলনেরই জয়।” তবে এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। আপনার মতামত জানান -