এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপিতে যেতেই সব্যসাচী দত্তকে নতুন ‘পরামর্শ’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের

বিজেপিতে যেতেই সব্যসাচী দত্তকে নতুন ‘পরামর্শ’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের


তৃণমূল গড়ে আবারও ধাক্কা। লোকসভা ভোটের পরবর্তী ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল দল থেকে একের পর এক নেতা ঘাসফুলের শিবির ছেড়ে পদ্ম শিবিরে চলে যাচ্ছে। এবার সেই দলে নাম লেখালেন বিধান নগর পুরসভার প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। গুঞ্জন আগে থেকেই ছিল, তবে এবার পাকাপাকিভাবে বিজেপি দলে যোগদান করলেন সব্যসাচী দত্ত। যদিও তৃণমূল দল ইতিমধ্যে বহুবার সব্যসাচী দত্তের বক্তব্যকে ঘিরে বিপাকে পড়েছে।

তাই তৃণমূল নেতৃত্বের সাথেও তাঁর দূরত্ব ক্রমশই বাড়তে থাকে। তৃণমূলের তরফ থেকেও সেই দূরত্বকে মেটানোর কোন চেষ্টাও হয়নি। বরং আগুনে ঘি পরে সম্প্রতি বিদ্যুৎ কর্মীদের নিয়ে বিদ্যুৎ ভবন ঘেরাও এর সমাবেশে সব্যসাচী দত্ত সরকার বিরোধী বিস্ফোরক মন্তব্য করায়। এবার সেই দূরত্বকে শিলমোহর দিয়ে পাকাপাকিভাবে সব্যসাচী দত্ত বিজেপি শিবিরের সৈন্য হিসেবে যোগ দিলেন।

এদিকে দুর্গাপূজার প্রাক্কালে বিধান নগরের প্রাক্তন মেয়র তথা রাজারহাট নিউটাউন এর বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষ করেছেন। বিজেপি মঞ্চে দাঁড়িয়ে সব্যসাচী দত্ত এদিন বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রীকে তিনি প্রশাসনিক সভায় জলা ভরাট নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কথার কোনো উত্তর দেননি। উপরন্তু জলা ভরাট করেই সেখানে বাড়ি হয়ে যায়।

এই সম্পর্কে তৃণমূল মহাসচিব বলেন, সব্যসাচী দত্ত যদি এ ধরনের ঘটনা খুঁজে পান, তাহলে তিনি অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে পারেন। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, দল ছাড়তে হয়েছে বলেই মুখ্যমন্ত্রীকে অপমানসূচক কথা বলার কোন অধিকার নেই তাঁর। সব্যসাচী দত্ত তৃণমূলে থেকেই দল বিরোধী কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি দলে থেকেই বিরোধী দলের সাথে যথেষ্টই যোগাযোগ রাখছিলেন বলে খবর। সম্প্রতি গণেশ পুজোতে তিনি বিজেপির শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ করেছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ নিয়ে তৃণমূল দলের অন্দরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে যজ্ঞ করেছিলেন। এই ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্ব চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর আগেও বহুবার গুজব ছড়ায় সব্যসাচী দত্ত বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন। কিন্তু প্রত্যেকবারই সব্যসাচী দত্ত জানান তিনি তৃণমূল দল ছাড়ছেন না। তবে বিদ্যুৎ ভবন এর সমাবেশে বিতর্কিত মন্তব্য করার পর বিধাননগরের কাউন্সিলররা একযোগে সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেন।

আর তার ফলেই সব্যসাচী দত্ত তার মেয়র পদ ছেড়ে দেন। আর তারপরেই প্রত্যাশা মতো তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। বলাই বাহুল্য, সব্যসাচী দত্তের মতো অভিজ্ঞ নেতা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় বাংলায় বিজেপি দল আরো শক্তিশালী হলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্বাষজ্ঞরা। বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সব্যসাচী দত্ত জানিয়েছেন, দলত্যাগ করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ তাঁর নিজের।

তৃণমূলের অনৈতিক কাজের দায়িত্ব তিনি আর নিতে চান না বলেই বিজেপিতে তিনি যোগদান করলেন বলেও জানিয়েছেন সাব্যসাচীবাবু। নতুন দলে এসে তাঁর খুশি চোখে পড়ার মতো। তবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল দল যথেষ্ট বিপাকে পড়েছিল। দলে থেকে সব্যসাচী দত্ত বিরোধীদলের সাথে রীতিমতো যোগাযোগ রাখছিলেন।

যা নিয়ে তৃণমূলে যথেষ্ট সমালোচনা হয়। তবে সব্যসাচী দত্তের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। যা এদিন সম্পন্ন হল। এই ঘটনা আপাতত পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোন নতুন মাত্রা যোগ করতে চলছে কিনা সেদিকেই নজর থাকবে সবার। তবে, অস্বস্তি এড়াতে তৃণমূল মহাসচিবের বক্তব্য, সাব্যসাচীবাবুর দলত্যাগ করা উচিত। এর আগে, দলত্যাগীদের সাথে সাথে বহিস্কার করলেও সব্যসাচী দত্তের ক্ষেত্রে কিন্তু সেই পদক্ষেপের কথা এখনো জানাননি পার্থবাবু।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!