এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বহুমুখী উন্নয়ন করেছে: পার্থ চ্যাটার্জি

সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বহুমুখী উন্নয়ন করেছে: পার্থ চ্যাটার্জি


দীর্ঘ ১৭ মাসের লড়াইয়ের পরে আজ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাশীষ করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ এক ঐতিহাসিক রায়ে আজ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অধিকারের মধ্যে পরে। এতদিন রাজ্য সরকারের বা ‘স্যাটের’ যে অবস্থান ছিল, যে ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কোনো অধিকার নেই তা সরকারের দয়ার দান – তা সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছেন দুই বিচারপতি।

আর এই নিয়েই রাজ্য সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে সংবাদমাধ্যমের তরফে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পষ্ট জানান, রাজ্য সরকারের এই নিয়ে কি অবস্থান তা তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে জানাতে পারবেন না। তবে আমার অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যদি চাকরির শর্তে ডিএ দেওয়ার কথা বলা থাকে, তবে ডিএ অবশ্যই পাওয়া উচিত। কিন্তু আর্থিক দুরাবস্থার কারণে তা অনেক সময়েই সঠিক সময়ে দেওয়া হয় না।

তিনি এই প্রসঙ্গে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর প্রসঙ্গ টেনে আনেন। পার্থবাবু জানান, জ্যোতিবাবুর আমলে তো ২ বছর ধরে ডিএ বন্ধ ছিল। এমনকি আমরা যখন ক্ষমতায় এলাম তখনও তা যা প্রাপ্য ডিএ তা মেটানো হয় নি। ২০১১ সাল থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ত্বে এই সরকার বহুমুখী উন্নয়ন করেছে।

এরপর পার্থবাবু রীতিমত তালিকা তুলে ধরে বলেন, এক – নিয়মিত বেতন মাসের প্রথমেই পাচ্ছেন, যেটা ছিল না – শিক্ষকদেরও ছিল না। মেডিক্যাল স্কিম তৈরী করা হয়েছে, এলটিএ দেওয়া হচ্ছে, মহিলা সরকারি কর্মচারীদের জন্য ‘চাইল্ড কেয়ার লিভ’ দেওয়া হচ্ছে, বিদেশে ভ্রমনের সুযোগ রয়েছে – ফলে, আস্তে আস্তে শিক্ষক সহ সরকারি কর্মচারীদের সমস্ত স্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ত্বে আগের থেকে সমস্যা দূরীকরণে চেষ্টা করে যাচ্ছে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এরপর তিনি ডিএ প্রসঙ্গে বলেন, এক্ষেত্রে দেখতে হবে আমরা কত টাকা মাথায় ঋণের বোঝা নিয়ে এসেছিলাম। আজ আমাদের ৪০ হাজার কোটি টাকা কেটে নিয়ে যাচ্ছে ঋণের সুদ বাবদ। এরই মধ্যে কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধীরে ধীরে সরকারি কর্মচারীদের যথেষ্ট রকম সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং আগামী জানুয়ারিতেও বলা হয়েছে ২৫% ডিএ বাড়বে। ফলে, ব্যবধান অনেকটাই কমেছে।

এর সাথেই পার্থবাবু যোগ করেন, কিন্তু, এর সঙ্গেই বুঝতে হবে – রাজ্যের ভান্ডারটা যদি স্ফীতকায় না হয়, তাহলে অনেক সময় প্রাপ্য পেতে দেরি হয়। তারমানে এই নয় যে এটা তাঁদের প্রাপ্য নয়, আমাদের সেই দিকটার কথাও বিবেচনা করতে হবে। সরকার সবসময়েই সরকারি কর্মচারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল, তাঁরাও এটা ভেবে দেখবেন নিশ্চয় যে সরকারের অর্থ-ভান্ডার যখন যেরকম এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছেন।

পার্থবাবুর আরো বক্তব্য, শিক্ষক থেকে সরকারি কর্মচারী – সর্বক্ষেত্রেই একটা সহানুভূতি এবং প্রাপ্তি মুখ্যমন্ত্রী ঘটিয়েছেন। তবে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, যতক্ষন না রায়ের পুরো প্রতিলিপি দেখছেন – এই নিয়ে তিনি কিছু মন্তব্য করতে চান না। তবে তিনি বলেন, বিগত সরকার ডিএ দীর্ঘদিন বন্ধ করে রাখার পাশাপাশি মাইনে ঠিক সময়ে দিত না। আমাদের সরকার কিন্তু ডিএ বন্ধ করে রাখেনি। সেই হিসাবে দেখতে গেলে – কেন্দ্রীয় সরকারের এত আর্থিক অবরোধ ও এতো ঋণের বোঝা মাথায় নিয়েও অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে উন্নয়ন ও আরেকদিকে প্রাপ্তি ঘটানো – দুটোই কিন্তু তিনি করে চলেছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!