এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে শিক্ষামন্ত্রী, জোর শোরগোল রাজ্যে

বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে শিক্ষামন্ত্রী, জোর শোরগোল রাজ্যে


রাজনীতিতে বিতর্কের রেওয়াজ থামছে না কিছুতেই। বিভিন্ন রাজনীতিবিদ থেকে নেতা-মন্ত্রীরা বিভিন্ন সময় তাদের মুখ ফসকে বিতর্কিত শব্দ প্রয়োগ করে ফেলছেন। তবে নেতা বা বিশেষ কোনো দলের পদাধিকারী যদি এই বিতর্কিত শব্দ প্রয়োগ করে, তাহলে তা তর্কের খাতিরে মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু যদি কোনো মন্ত্রীর মুখে বিতর্কিত শব্দ শোনা যায়!

হ্যাঁ, ঠিক এমনটাই হয়েছে, গতকাল নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষা সমিতির এক অনুষ্ঠানে। যেখানে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলির প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যেখানে তিনি বলেন, “একবার বলেছিলাম যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি বদলির আবেদন করলে তার আবেদনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তারপর থেকে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে শিক্ষিকারা এত বেশি স্ত্রী রোগে ভুগছেন যে, আমি নিজেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি। জেনুইন কিছু থাকলে নিশ্চয়ই বদলি হবে। কিন্তু এটা কি হচ্ছে!”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর শিক্ষামন্ত্রীর মুখ থেকে স্ত্রী রোগ সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য শোনায় হতচকিত হয়ে যান অনেকেই। কেন প্রকাশ্যে মহিলাদের নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য করলেন শিক্ষামন্ত্রী, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন একাংশ। সত্যিই তো, বদলির ক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রীর কারণ দর্শানো নিয়ে আপত্তি থাকতে পারে। কিন্তু স্ত্রী রোগ সম্পর্কে কেন বিতর্কিত মন্তব্য করবেন একজন মন্ত্রী! কেন তার মুখের লাগাম থাকবে না! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

তবে অনেকে বলছেন, আসলে বদলির ঠেলায় বড়ই বিপাকে পড়েছে শিক্ষাদপ্তর। আর তাই তো প্রকাশ্যে এই ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে বিতর্কিত কথাটাই বলে ফেললেন শিক্ষামন্ত্রী। এদিকে এদিনের এই অনুষ্ঠানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রে যতটা পারা যায় তাদের নিজেদের জেলার মধ্যে কোনো স্কুলে রাখা হয়। আর যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে পাশের জেলার কোনো স্কুলে পাঠানো হয়।”

অন্যদিকে এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে কিছুটা আক্ষেপের সুর শোনা যায় শিক্ষামন্ত্রীর গলায়। তিনি বলেন, “কোনো শিক্ষক বা শিক্ষিকা বলছেন না যে তাকে এমন স্কুলে বদলি করা হোক যেখানে পড়ুয়া বেশি। আমরা চাই শিক্ষক তার আত্মসম্মান নিয়ে কাজ করুন। যেখানে শিক্ষকের অভাব সেখানে শিক্ষকদের যেতে হবে।”

তবে নজরুল মঞ্চের সমাবেশ থেকে শিক্ষামন্ত্রী সমস্ত ভালো কথা বললেও এক বালতি দুধের মধ্যে শিক্ষিকাদের স্ত্রী রোগ সম্পর্কে মন্তব্য করাটা যেন চোনা ফেলে সমগ্র দুধটাকেই নষ্ট করে দিল বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!