বিতর্কিত মন্তব্য করেও পিছু হটলেন না শিক্ষামন্ত্রী, জানিয়ে দিলেন নিজের অবস্থান কলকাতা রাজ্য July 26, 2019 গতকাল দলের প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকাদের সভামঞ্চে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বঙ্গ রাজনীতিতে তিনি সুবক্তা হিসেবে পরিচিত হলেও গতকাল বদলি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মহিলা শিক্ষিকাদের সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করে দেন। যার জেরে তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যতে সমালোচনার আওয়াজ উঠতে শুরু করে সব মহলেই। অনেকেই ভেবেছিলেন, তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী গতকাল মহিলা শিক্ষিকাদের সম্পর্কে এহেন মন্তব্য করলে হয়ত তারপরে তার সেই মন্তব্যের জন্য তিনি ক্ষমা চেয়ে নেবেন, কিন্তু তেমনভাবে ক্ষমা চাওয়া তো দূর অস্ত, উল্টে তার মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে জানিয়ে দিলেন পার্থবাবু। আসুন আগে দেখে নিই যে, গতকাল নজরুল মঞ্চে দলের সমাবেশ থেকে মহিলা শিক্ষিকাদের সর্ম্পকে ঠিক কি বলেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! প্রসঙ্গত, গতকাল বদলি প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব বলেন, “এত বেশি মহিলা শিক্ষিকা স্ত্রী রোগে ভুগছেন যে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি।” আর শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এহেন বক্তব্য পেশের পরেই সেই গোটা সভাস্থলে হাসির রোল পড়তে শুরু করে। তবে অনেকেই প্রশ্ন করেন, একজন শিক্ষামন্ত্রী মুখ থেকে এই ধরনের কথা কখনই শোভা পায় না। বদলি প্রসঙ্গে তিনি অন্য কথা বলতে পারতেন। কিন্তু স্ত্রী রোগ সম্পর্কে মন্তব্য করে কেন মহিলাদের ভাবাবেগে আঘাত করলেন তিনি! আর এই প্রশ্ন যখন উঠতে শুরু করেছে সর্বত্র, ঠিক তখনই আজ নিজের ফেসবুক পেজে এই ব্যাপারে মুখ খুলতে দেখা গেল সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, আজ নিজের ফেসবুক ওয়ালে তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় লেখেন, “গতকাল নজরুল মঞ্চে আমার দেওয়া বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করার একটা প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি। আমাদের সরকার নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে শিক্ষিকাদের দূর-দূরান্তে স্কুলে কাজ করাকে সঠিক বলে মনে করেনি। আর সেই কারণেই শিক্ষিকাদের যতটা সম্ভব তাদের নিজেদের জেলাতে যেখানে শিক্ষিকা শিক্ষিকার দরকার, সেখানেই রাখতে বলা হয়েছে। শিক্ষিকাদের সমস্যা জানাতে গিয়ে যদি কোনো অপব্যাখ্যা হয়ে থাকে, তাহলে তা কখনই কাম্য নয়। আমি তো নিজেই মহিলাদের সম্পর্কে ছোটবেলা থেকে যে শিক্ষা পেয়েছি, তাতে যেভাবে তার অপব্যাখ্যা হচ্ছে, তাতে আমি সত্যিই মর্মাহত।” কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী নিজের বক্তব্য অপব্যাখ্যা হয়েছে বলে যে দাবি করছেন, তার সঙ্গে তো বাস্তবের অনেকটাই ফারাক রয়েছে। একাংশের সহাস্য প্রশ্ন, তাহলে কি গতকাল নজরুল মঞ্চে যে ব্যক্তি মহিলাদের স্ত্রী রোগ সম্পর্কে মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন, তিনি আজকের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নন! নাকি পার্থবাবুর মুখ গতকালের স্ত্রী রোগ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা ব্যক্তির মুখের জায়গায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে! আর তাই তার মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে আজকে দায় এড়াতে চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী! প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -