এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা অবহেও রাজনীতি ভুলতে পারছেন না কেউ! তীব্র তরজায় তৃণমূলের পার্থ বনাম বিজেপির দিলীপ

করোনা অবহেও রাজনীতি ভুলতে পারছেন না কেউ! তীব্র তরজায় তৃণমূলের পার্থ বনাম বিজেপির দিলীপ

সম্প্রতি জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের একতাবদ্ধ রূপ সকলের সামনে আনতে আলো জ্বালানোর কথা বলেছিলেন। যেখানে 5 এপ্রিল রবিবার রাত নটায় 9 মিনিটের জন্য ঘরের লাইট বন্ধ করে মোবাইলের ফ্ল্যাশ, প্রদীপ, মোমবাতি জ্বালানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। দেশের এই সংকটের মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলে চেষ্টা করেছিলেন, দেশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ রূপকে সকলের সামনে তুলে ধরতে।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তাকে বাস্তবায়িত করতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে শব্দবাজি পর্যন্ত ফাটতে। যা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকেই বলছেন, বর্তমান সময়টা একদমই উৎসবের সময় নয়। প্রধানমন্ত্রী এই বার্তা দিয়ে অন্য ভাবনা ভাবলেও কেন একাংশ উৎসব ভেবে নিয়ে শব্দবাজি ফাটালেন? আর নানা মহলে যখন এই ব্যাপারে প্রশ্ন উঠছে, ঠিক তখনই এই বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

যার পাল্টা সরব হলেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন আতশবাজি ফোটানোর কারণ হিসেবে দিলীপবাবু বলেন, “এতদিন ধরে মানুষ হতাশায় দিন কাটাচ্ছিলেন। বাজি পোড়ানোয় সাধারণ মানুষের হতাশা কেটে গিয়েছে। সেখানে যদি একটু আনন্দ করে, তাহলে বিরোধীদের এত কষ্ট হচ্ছে কেন! ওদের তো সুখ নেই, দুঃখও নেই। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে দেশের কোটি কোটি মানুষ এগিয়ে এসেছেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দিলীপবাবু আরও বলেন, “যারা এর বিরোধিতা করেছিলেন, তারা এখন খুঁজছেন কারা বাজি ফাটালো! বাজি ফাটানোর মধ্যে অন্যায়ের কিছু নেই। মানুষ একটু না হয় আনন্দ করল।” আর দিলীপবাবুর এই মন্তব্যের পরেই তাকে পাল্টা আক্রমণ করেন তৃণমূল মহাসচিব প্রথম শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এখন আনন্দ করার সময় নয়। করোনার আতঙ্কে তটস্থ বিশ্বের মানুষ। প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিল চলছে।”

পার্থবাবুর বক্তব্য, “এখন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার সময়। আর এই সময়ে আনন্দ-উৎসব করে বিজেপি বুঝিয়ে দিল ওদের হীনতা।” আর প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবারের ঘটনা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির দুই নেতার এই তরজা এখন রীতিমত নজর কাড়ছে রাজনৈতিক মহলের। অনেকেই বলছেন, প্রথমত, এটা দেশের সংকটজনক মুহূর্ত। প্রধানমন্ত্রী যে বার্তা দিয়েছিলেন, তাকে অন্যভাবে নিয়ে যেভাবে একাংশ বাজি ফাটিয়েছেন, তা কিছুটা হলেও নিন্দনীয়।

তবে সেই বাজি ফাটানোর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যেভাবে অনেকে সরব হলেন এবং গোটা ঘটনায় যেভাবে রাজনীতি চলে এল, তাতে রীতিমত হতাশ বঙ্গবাসী। বারবার বিভিন্ন মহলের তরফেই সংকটজনক মুহূর্তে অন্তত রাজনীতি আনা উচিত নয় বলে জানানো হলেও, বাংলার রাজনীতিবিদদের মধ্যে যেকোন পরিস্থিতিতেই রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত থাকবেই, তা কার্যত আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!