এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মন্ত্রিসভায় রদবদলে গদি হারাতে পারেন শিক্ষামন্ত্রী, জোর জল্পনা রাজ্যে

মন্ত্রিসভায় রদবদলে গদি হারাতে পারেন শিক্ষামন্ত্রী, জোর জল্পনা রাজ্যে


রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলের সম্ভাবনার খবর চাউর হতে না হতেই এখন সর্বত্র তীব্র গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। কে বাদ যাবেন আর কেই বা নতুন মুখ হিসেবে এই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাবেন! – এখন তা নিয়েই জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে শাসক দলের অন্দরে। সূত্রের খবর, নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন সুজিত বসু, সমীর চক্রবর্তী, মহুয়া মৈত্রের মত বিধায়কেরা।

অন্যদিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যেরও দায়িত্ব বাড়ানো হতে পারে বলে খবর। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে মমতা মন্ত্রিসভার 2 নম্বর ব্যক্তি পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজের মন্ত্রীপদ খোয়াতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু কেন মুখ্যমন্ত্রীর সবথেকে প্রিয় আস্থাভাজন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর মন্ত্রীপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে?

একাংশ মনে করছেন, ব্রাত্য বসুকে সরিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই শিক্ষাঙ্গনে অশান্তি শুরু হয়েছে। কলেজে কলেজে ভর্তিতে তোলাবাজি শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের গোষ্ঠী কোন্দল থেকে শিক্ষক বিদ্রোহ – শিক্ষা দপ্তরের বিরুদ্ধে একের পর এক ওঠা অভিযোগে রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে যেতে হয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একার পক্ষে ঠিক কতটা গোটা বিষয়টিকে সামাল দেবেন তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন স্বয়ং তিনিও। শুধু তাই নয়, ইসলামপুরের দাঁড়িভিট সহ একাধিক শিক্ষাঙ্গনে অশান্তি সহ শিক্ষকদের একরাশ বিদ্রোহে কার্যত অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল রাজ্যের শিক্ষাদফতর। আর শিক্ষাঙ্গনের এই স্বাভাবিক পরিস্থিতি অটুট রাখতে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় চেষ্টা করলেও কার্যত তা অসম্পূর্ণই ছিল।

অনেকেই মনে করছেন, এইসব কারনেই শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন পার্থ ডাহা ফেল। তাই তাঁকেই এবার মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মন্ত্রীপদ থেকে সরিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ঠিক কি দায়িত্ব দেবেন মুখ্যমন্ত্রী?

বিশেষ সূত্রের খবর, এখন থেকে দলীয় সংগঠন সামলানোর জন্যই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওপর গুরুদায়িত্ব দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অনেকে মনে করছেন, অতটা সহজে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শিক্ষার থেকে শিক্ষা দপ্তর কেড়ে নেবেন না মুখ্যমন্ত্রী। বদলে তিনি এই শিক্ষা দপ্তরকে দুইভাগে ভাগ করে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিকের দায়িত্ব পৃথক পৃথক ব্যক্তির হাতে তুলে দিতে পারেন। তবে শেষ পর্যন্ত কি হবে তা ঠিক করবেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!