এবার দিলীপকে পাল্টা তোপ দাগলেন পার্থ,অশালীন আক্রমন ফিরহাদের নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য June 26, 2018 এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নদীয়া জেলায় আশানুরূপ ফল করতে পারেনি রাজ্যের শাসকদল। এই জেলায় বিজেপি ভালোই টেক্কা দিয়েছে রাজ্যের ঘাসফুল শিবিরকে। এছাড়াও রাজ্যের দ্বিতীয় শক্তিধর রাজনৈতিক দল হিসাবে পদ্মশিবিরেরর উত্থান লোকসভা ভোটের আগে রাতের ঘুম কাড়ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বদের। তাই চলতি মাসের ২১ তারিখে কোলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় বঙ্গের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে ডাক পড়েছিলো নদিয়ার বিধায়ক ও মন্ত্রীদের। সেখানে নেত্রী নদীয়া তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বদের ভৎর্সনাই করেছিলেন একরকম পঞ্চায়েত ভোটে নদীয়ায় তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে ধস নামার কারণে। এরপর এদিন নদীয়ার কৃষ্ণনগরের বুকেই একটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিলো জেলা তৃণমূল নেতৃত্বরা। সেখান হাজির ছিলেন পুর এবং নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম,পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী,তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সহ জেলার বিধায়ক এবং সাংসদরাও। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এদিন রাজ্যের গেরুয়াশিবিরের সম্পর্কে মিডিয়ার সামনে ক্ষোভ উগড়ে ফিরহাদ সাহেব দিলীপ ঘোষকে অশালীন আক্রমণ করলেন। তিনি এদিন বললেন যে দিলীপ ঘোষেরা নাকি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। এর সঙ্গে আরো জুড়ে জানালেন যে এনকাউন্টারই নাকি বিজেপির রাজনীতির ধরণ। এরকম পদ্ধতিতে তৃণমূল রাজনীতি করে না। সেইজন্যেই কেন্দ্রীয় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব নানা ভাবে ফেঁসে গেছেন। ঘাসফুল শিবির নয়। পুরমন্ত্রীর পাশাপাশি কটু ভাষায় রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে তোপ দাগলেন মহাসচিব পার্থ চাটার্জিও । তিনি জানালেন যে দিলীপ ঘোষের অবস্থা এখন মানসিক রোগীর মতো। ওঁনার নাকি মাথা খারাপ হয়ে গেছে। নিজের মতো বিড়বিড় করে বকে এবং রোজই বকে কিন্তু শ্রোতা পায় না। এরসঙ্গে আরো জানান যে, বর্তমানে দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপি দলের অন্যান্যরাও অনেক চেষ্টা করছে রাজ্যের বাতাবরণ অশান্ত করার কিন্তু পেরে উঠছেন না। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু আগেই দলীয় নেতা তথা কর্মী সমর্থকদের সতর্ক করে দিয়ে লোকসভা ভোটের আগে সংযত আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এদিন ফিরহাদ হাকিম এবং পার্থবাবুর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে গেলো যে নেত্রীর নির্দেশ তাঁর দলের সদস্যরাই উলঙ্ঘন করছেন। এই নিয়ে এখনো দিলীপ ঘোষ বা বিজেপির তরফ থেকে কোনো পরিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আপনার মতামত জানান -