এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পার্থ- সুব্রতকে সামনে পেতেই দলীয় নেতাদের মাতব্বরি ও দুনম্বরি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন কর্মীরা

পার্থ- সুব্রতকে সামনে পেতেই দলীয় নেতাদের মাতব্বরি ও দুনম্বরি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন কর্মীরা

দলের ভেতরে দুর্নীতি, পুরনো কর্মীদের কোণঠাসা করে নতুন কর্মীদের মাতব্বরি ও তাদেরকে প্রশ্রয় দেওয়া মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে তাদের দলে যে এই রেওয়াজ শুরু হবে, তা ভাবতে পারেননি হয়তো খোদ তৃনমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

কিন্তু অদৃষ্টের নিষ্ঠুর পরিহাস! এককালে যে তৃণমূল নেতাদের দেখে কর্মীরা বিরোধীদের সন্ত্রাসের কথা জানিয়ে অভিযোগ করতেন, এখন সেই নেতাদেরই নিজের দলের থাকা কর্মীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে অভিযোগ শুনতে হচ্ছে। হ্যাঁ, অপ্রিয় সত্য হলেও এটাই সত্যি।

সূত্রের খবর, রবিবার প্যারিস পাড়ার কল্যাণ সংঘের মাঠে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, দেবাশীষ কুমার, তারক সিং, সাংসদ মালা রায়, কাউন্সিলার অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, শক্তি মণ্ডলের মতো নেতৃত্বরা। আর সেখানেই দলের রাজ্য স্তরের নেতাদের পেয়ে কর্মীদের একাংশের বাড়বাড়ন্ত এবং নেতাদের দুর্ব্যবহারের কথা তুলে ধরেন অনেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলেন, “দল ক্ষমতায় আসার পর এখন পাড়ায় পাড়ায় ইট বালির ব্যবসায় যুক্ত হয়েছে অনেকে। প্রমোটিংয়ের কাজে ব্যস্ত থাকায় রাজনৈতিক কাজে এখন আর কাউকে পাওয়া যায় না। মানুষ এসব দেখেই তৃণমূলের দিক থেকে মুখ সরিয়ে নিয়েছে।” জানা যায়, দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এই বেহালা পশ্চিম বিধানসভায় এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ভালো ফল করলেও বিভিন্ন ওয়ার্ডে শাসক দল পিছিয়ে থেকেছে।

এখানকার বিধায়ক হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষা দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হওয়ায় তিনি ঠিকমতো তার বিধানসভা এলাকায় সময় দিতে পারেন না বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠেছে। তাই লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ডে তার বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল পিছিয়ে থাকায় সেইখানে কর্মী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কর্মীদের অভাব অভিযোগ শোনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন পার্থবাবু। কিন্তু অবস্থা এমনই বেগতিক যে দলের কর্মীরা যেভাবে দলেরই একাংশের বাড়বাড়ন্ত এবং দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন, তাতে এই কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত রাজ্য নেতৃত্বের অস্বস্তি কোনো অংশেই কমল না।

এদিন এই সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিভিন্ন সময়ে কর্মীদের কাছ থেকে শুনতে হয় যে, তাদের কথা শোনা হয় না। নেতারা একতরফা বলে যান। সেই কারণে প্রত্যেকের কাছ থেকে এদিনের কর্মী সম্মেলন থেকে লিখিত মতামত নেওয়া হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধেও যদি কারও অভিযোগ থাকে তা নির্ভয়ে জানান। নতুন ও পুরনো নিয়ে সব জায়গাতে সমস্যা রয়েছে। পাড়ায় পাড়ায় দলের একাংশের ইট, বালির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য আরও সর্বনাশ হয়েছে। দল নিয়ে কেউ মাথা ঘামাচ্ছে না। পেটে খিদে থাকলে তা ভদ্রভাবে করতে হয়। এবার থেকে নিজের দপ্তর এবং বেহালা পশ্চিমের জন্য আমি বেশি করে সময় দেব।”

সমালোচকদের একাংশের মতে, সুশাসনের বার্তা দিয়ে 2011 সালে রাজ্যে তৃণমূলের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও নেতাকর্মীরা যেভাবে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন, তা সাধারণ মানুষের কাছে দৃষ্টিকটু হয়ে উঠেছিল। আর তাই এবার নির্বাচনী ফলাফল খারাপ হওয়ার পরই এতদিন নেতাদের গুরুত্ব দেওয়ার পর ঠেলায় পড়ে নিচুস্তরের কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা শোনা গেল তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গলায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!