এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > প্রার্থী ঘোষনা হতেই বিজেপির কার্যালয়ে তালা, ঘোষিত প্রার্থীকে না মানার হুঁশিয়ারি, বিক্ষোভ চরমে!

প্রার্থী ঘোষনা হতেই বিজেপির কার্যালয়ে তালা, ঘোষিত প্রার্থীকে না মানার হুঁশিয়ারি, বিক্ষোভ চরমে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই প্রার্থী নিয়ে দলের একাংশের যে যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে, তা প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। এমনকি অনেক আসনে প্রার্থীর ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে বিজেপির অনেক নেতা কর্মীরা প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করেছিলেন। যার ফলে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে এরপরই তৃতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে যাতে পরবর্তীতে প্রার্থী ঘোষণার পর আর কোনো রকম অসুবিধা না হয়, সেই ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

কিন্তু বৃহস্পতিবার তৃতীয় দফায় 148 টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই ফের বিজেপির কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। যেখানে রানীগঞ্জ বিধানসভায় বিজেপির প্রার্থী পছন্দ না করতে পেরে রীতিমত বিক্ষোভে নেমে পড়লেন দলের একাংশ। স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করার দাবিতে এদিন রীতিমত দলীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা যায় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের‌। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহু চেষ্টা করেও, বিজেপি তাদের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে না পারায় অনেকের মনেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিজেপির পক্ষ থেকে রানীগঞ্জ বিধানসভার প্রার্থী হিসেবে চিকিৎসক বিজন মুখোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করা হয়। আর তারপরই বিজেপির একাংশ ময়দানে নেমে পড়ে। যেখানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রানীগঞ্জে বিজেপি কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে জাতীয় সড়কের ধারে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন দলের একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাদের দাবি, স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করতে হবে। বিজন মুখোপাধ্যায়কে বিজেপির কেউ চেনেন না। তাই স্থানীয় ভূমিপুত্র কোনো বিজেপি কর্মী বা আরএসএস সদস্যকে প্রার্থী করতে হবে। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি সাংগঠনিক এবং শৃঙ্খলা পরায়ন দল হিসেবে বড়াই করে। কিন্তু প্রার্থী ঘোষণার পরে যেভাবে তাদের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল এবং বিক্ষোভ করতে শুরু করলেন দলের একাংশ, তাতে বিজেপি যে এখন যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তবে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে একাংশ কর্মী-সমর্থক বিক্ষোভ করে প্রার্থী না মানার কথা বললেও, এই ব্যাপারে অন্য কথা বলছেন রানীগঞ্জ বিধানসভার প্রার্থী বিজন মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এটা নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি। কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সব কিছু মিটিয়ে নেওয়া হবে।” তবে প্রার্থী যে কথাই বলুন না কেন, এর আগেও দ্বিতীয় দফায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর বিজেপির একাংশ প্রার্থী না মানতে পেরে দলের সদর দপ্তরের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন।

পরবর্তীতে পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামতে গিয়ে দেখা গিয়েছিল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে। এমনকি সম্প্রতি দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগে যারা প্রার্থী তালিকায় জায়গা পাচ্ছেন না তাদের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে বিদ্রোহীদের ক্ষোভ প্রশমনে চেষ্টা করেছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

কিন্তু এই সমস্ত কিছুতে যে কাজের কাজ কিছুই হয়নি, তা বিজেপির তৃতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!