প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভবানীপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী করা হয়েছে বিজেপি নেত্রী ও পেশায় আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে। আর প্রার্থী হবার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে একের পর এক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে,২ রা মে ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে যে হিংসা হয়েছিল, তা সহ্য করে একদিনও তিনি বাড়িতে বসে আফসোস করেননি যে, তিনি ভোটে হেরে গিয়েছেন। মানুষের জন্য সে সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন, এখনও আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন, লড়াইয়ের জন্য তিনি প্রস্তুত আছেন।

বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল জানালেন যে, তাঁর ওপরে বিশ্বাস রেখেছেন সাধারণ মানুষ। তাঁকে তারা ভালোবাসা দিয়েছেন। ভবানীপুর হলো তার হোম সিট। ভবানীপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তিনি জানালেন, গত পাঁচ মাস ধরে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। একবার তাদেরকে তিনি পরাজিত করেছেন। বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল জানালেন, কেউ ভোট না দিলে তাকে মেরে ফেলা যেতে পারে, তাকে ধর্ষণ করা যেতে পারে, এই প্রবণতাকে তিনি ধিক্কার জানাচ্ছেন। তাই তিনি মানুষের লড়াই এর পাশে দাঁড়িয়েছেন।

সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, ভবানীপুরে কংগ্রেস কোন প্রার্থী দেয়নি, এতে কি তাঁর লড়াই আরো কঠিন হয়ে গেল? এর উত্তরে তিনি জানালেন যে, কংগ্রেসের কোন অস্তিত্বই নেই। সকলেই দেখেছেন কংগ্রেস এখানে কতগুলি ভোট পেয়েছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, যদি সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হতে পারে, মানুষ যদি নিজের ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারেন, তবে তিনিই জিতবেন।

কারণ মানুষের পালস তিনি বুঝতে পারছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর করে মানুষকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। মানুষ যখন ঘরছাড়া হচ্ছে, মেয়েরা যখন ধর্ষিতা হচ্ছে, তখন তিনি চুপ করেছিলেন। কিন্তু তিনি মানুষকে ঘরে ফেরাতে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি জানালেন, তিনি মানুষের দরজায় দরজায় যাবেন, অনুন্নয়ন এর তিনি কথা বলবেন মানুষকে। ৫০০ টাকা দিয়ে ভোট কেনা যেতে পারে। কিন্তু মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ৫০০ টাকার থেকেও অনেক বেশি প্রয়োজন সামগ্রিক উন্নয়নের।