এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভকারীদের গুরুত্ব, সংগঠনে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলীপের!

প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভকারীদের গুরুত্ব, সংগঠনে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলীপের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ইতিমধ্যেই পশ্চিমবাংলায় চার দফায় ভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতে না হতেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তৈরি হয়েছে বিদ্রোহ। তৃণমূল থেকে কিছুদিন হল যে সমস্ত নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তারা টিকিট পাওয়ার কারণে অনেকেই ক্ষোভ উগড়ে দিতে শুরু করেছেন। যার ফলে বিজেপির অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে। দলের রাজ্য দপ্তরের সামনে একাধিক কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভ কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে।

আর এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে রাজ্য নেতৃত্বকে ডেকে কিভাবে গোটা পরিস্থিতির সমাধান করা যায়, তার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আর এবার দলের একাংশের প্রার্থী নিয়ে আপত্তি এবং তার জেরে বিক্ষোভকে সামাল দিতে নয়া বার্তা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যেখানে যারা প্রার্থী হতে পারেননি, তাদের সাংগঠনিক স্তরে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। অর্থাৎ যাদের প্রার্থী করা হয়নি, তারা যাতে ক্ষোভ-বিক্ষোভ না করেন এবং দলের বিরুদ্ধে কোনো রকম বিদ্রোহ ঘোষণা করেন, তার জন্য দিলীপ ঘোষের এই ধরনের বার্তা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “যারা প্রার্থী হতে পারছেন না, তাদের সাংগঠনিক স্তরে দায়িত্ব দেওয়া হবে।” অর্থাৎ তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে যাতে নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বিজেপির পথের কাঁটা হয়ে না দাঁড়ায়, তার জন্যই দিলীপ ঘোষ বিক্ষুব্ধদের বার্তা দিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একাংশ বলছেন, বিজেপির এবার প্রধান লক্ষ্য বাংলার ক্ষমতা দখল করা। কিন্তু তার জন্য সঠিক প্রার্থী চয়ন করা যেমন তাদের কাছে প্রধান কাজ, ঠিক তেমনই সেই প্রার্থী নিয়ে যাতে দলের অন্দরে কোনোরকম মতানৈক্য সৃষ্টি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখাও বড় চ্যালেঞ্জ গেরুয়া শিবিরের কাছে। আর সেই কারণেই এবার প্রার্থী ঘোষণার পর বিদ্রোহ সামাল দিতে দিলীপ ঘোষ এই কৌশলী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন বলে দাবি একাংশের।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দ্বিতীয় দফার প্রার্থী বিজেপির পক্ষ থেকে ঘোষণা করার পর এই জেলায় জেলায় বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করেছিল। কোথাও জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে, আবার কোথাও বা রাজ্য স্তরের নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বভাবতই এই বিষয়টি সমাধান করার জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছিল পদক্ষেপ। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছিলেন রাজ্য স্তরের নেতারা। আর এবার বিক্ষুব্ধদের ক্ষোভ প্রশমনের জন্য যারা প্রার্থী হননি তাদের সাংগঠনিক তারই দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যের পর বিক্ষুব্ধদের ক্ষোভ প্রশমন আদৌ সম্ভব হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!