প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কোচবিহার জেলার তৃনমূল সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বিরোধীদের ঘর ভাঙ্গানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন পার্থপ্রতিম রায়। প্রায় প্রতি সোমবার করে বিরোধীদলের হেভিওয়েট নেতা, কর্মীদের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করাতে দেখা যাচ্ছে তাকে। আর শুক্রবার নির্দল, কংগ্রেস এবং সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের এক নেতাকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করালেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি। যার ফলে আগামী দিনে কোচবিহার জেলায় বিজেপি যে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

গত লোকসভা নির্বাচনে এই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র দখল করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। তারপর থেকে বিজেপির অবস্থা ক্রমশ ভালো হতে শুরু করেছিল। কিন্তু কিছুদিন আগেই এই জেলায় তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন পার্থপ্রতিম রায়। আর তারপর থেকেই বিজেপির ঘর ভাঙতে শুরু করেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এবার নির্দল, কংগ্রেস এবং এবিভিপির ঘর ভেঙে নেতাকর্মীদের নিজেদের দলে যোগদান করিয়ে সেই বিরোধীদলকেই কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিলেন পার্থপ্রতিমবাবু বলে মনে করছেন একাংশ।

সূত্রের খবর, শুক্রবার কোচবিহারে জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে যোগদান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের মরিচবাড়ি খুলটা এলাকার 3/42 নম্বর বুথে নির্দল পঞ্চায়েত দুলালি কার্জি, জেলা মহিলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক পার্বতী ওরাও এবং কোচবিহারের এক কলেজের এবিভিপির ইউনিট সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীরা যে ব্যাপকভাবে চাপে পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতিতে দলবদল অন্যতম চর্চার চর্চিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কোন রাজনৈতিক দল বিরোধী দল থেকে ভাঙিয়ে নিজেদের দলের কর্মী-সমর্থকদের সংখ্যা বাড়াতে পারে, তা দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে। তাই এই পরিস্থিতিতে কোচবিহার জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় এবার বিরোধীদের ঘর ভেঙে নিজের দলকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করলেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার প্রভাব আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নিশ্চিতভাবে পড়বে বলে মত তৃনমূল কংগ্রেসের। সবমিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে বিজেপি 2021 এ কিভাবে জয় ছিনিয়ে আনে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।