এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ মমতার দুঃসময়ের দুই সঙ্গী, হতাশা তীব্র, কাঁটা তৃণমূলের!

প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ মমতার দুঃসময়ের দুই সঙ্গী, হতাশা তীব্র, কাঁটা তৃণমূলের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কোনো রকম দুর্যোগ নেই। তবুও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই যেন কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় থমথমে ভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। কারণটা আর কিছুই নয়। এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুঃসময়ের সঙ্গী হিসেবে পরিচিত দুই বিদায়ী বিধায়ক এবার তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট পাননি। যার মধ্যে একজন মালা সাহা এবং অপরজন স্মিতা বক্সি। দুর্দিনের সময় এই দুই নেত্রী সর্বদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন।

কিন্তু 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তারা লড়াই করতে পারেন বলে গুঞ্জন তৈরি হলেও, শেষ পর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় তাদের নাম দেখতে পাওয়া যায়নি। তাই একদিকে জোড়াসাঁকো বিধানসভা কেন্দ্র এবং অন্যদিকে বেলগাছিয়া পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের একাংশের মধ্যে তৈরি হয়েছে হতাশা এবং ক্ষোভ।বলা বাহুল্য, 2006 সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অতি গর্জনের মুখে দাঁড়িয়েও বেলগাছিয়া পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হয়েছিলেন মালা সাহা। দাপুটে বাম নেতা রাজদেও গোয়ালাকে হারিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই মালা সাহা যে অত্যন্ত ক্ষিপ্ত, তা পরিষ্কার।

এদিন তিনি বলেন, “কখনও কারো কাছ থেকে পাঁচ পয়সা নেইনি। কোনো লোভে পা বাড়াবনা।” আর কিছু বলছি না। আমি শিক্ষিকা। ভদ্রতা আমার অলংকার।” অন্যদিকে 1998 সাল থেকে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় বক্সীর স্ত্রী জোড়াসাঁকো বিধানসভা কেন্দ্রের দুবারের বিধায়ক স্মিতা বক্সিও এবার টিকিট পাননি‌। এদিন এই প্রসঙ্গে স্মিতাদেবীর পুত্র যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সৌম্য বক্সী বলেন, “আমাদের পরিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুরুর দিনের সৈনিক। দিদির যে কোনো সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু কেন হঠাৎ করে মালাদেবীকে প্রার্থী করলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এদিন প্রার্থী ঘোষণার সময় মালা সাহা কিছুটা অসুস্থ বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। অন্যদিকে স্মিতা বক্সীকে প্রার্থী করা হচ্ছে না তার কারণ, এবার সেখানে প্রার্থী করা হচ্ছে হিন্দি সংবাদপত্রের মালিক বিবেক গুপ্তকে। স্থানীয় পরিস্থিতি বুঝেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তবে প্রার্থী ঘোষণার আগে কেউ এই সিদ্ধান্তের কথা জানাননি বলে জানিয়ে দিয়েছেন স্মিতা বক্সীর পুত্র সৌম্য বক্সী।

অর্থাৎ দলের প্রতি আনুগত্য থাকলেও দুই মহিলা নেত্রীর টিকিট না পাওয়াতে তাদের অনুগামীরা যে কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আগামী দিনে এই দুই মহিলা নেত্রী প্রার্থী না হওয়ার কারণে যদি এখানে ভোট কাটাকাটি শুরু হয়, তাহলে কলকাতার অন্দরে যে তৃণমূল ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!