এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হারানোর চ্যালেঞ্জ শোভনের! বাড়ছে উত্তাপ!

পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হারানোর চ্যালেঞ্জ শোভনের! বাড়ছে উত্তাপ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় তারা একই দলের সৈনিক ছিলেন‌। কিন্তু প্রায় অনেকদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় যোগ দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। তবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তিনি নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে সংগঠন করে দলকে আরও ভালো জায়গায় নিয়ে যাবেন বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সেভাবে নানা সমস্যার কারণে বিজেপির হয়ে প্রকাশ্যে আসতে দেখা যায়নি সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তবে সম্প্রতি ময়দানে নামতে শুরু করেছেন তিনি। আর অবশেষে প্রায় সাড়ে তিন বছর পর নিজের বেহালায় বিজেপির মিছিলের নেতৃত্ব দিতে দেখা গেল সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।

যেখানে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সহ কলকাতা জোনের নেতৃত্বরা। কিন্তু এই রোড শো থেকেই তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে দেখা যায় কলকাতা পৌরসভার প্রাক্তন মেয়রকে। যেখানে পার্থবাবুকে আর বিধানসভায় যেতে হবে না বলে জানিয়ে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের আগে শোভনবাবুর এই ধরনের মন্তব্য এখন রীতিমত আলোড়ন ফেলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বিজেপির শরিক। বিজেপি কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করব। 2001 সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বালিগঞ্জে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি তাকে বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে এনে জিতিয়েছিলাম। বেহালায় 0 থেকে 100 করেছিলাম। আজকের বিশাল জমায়েত দেখে বোঝা যাচ্ছে, শোভন চট্টোপাধ্যায় নিজের জায়গায় আছে। তৃণমূল মানুষের থেকে সরে গিয়েছে। যে রাস্তায় বেহালায় মিছিল করেছেন, সেই রাস্তা দিয়ে আর পার্থবাবুকে বিধানসভায় যেতে হবে না।”

অর্থাৎ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কথা থেকে স্পষ্ট যে তিনি একসময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে জয়লাভ করানোর জন্য সহযোগিতা করেছিলেন তবে এবার যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোন মতেই জয়লাভ করবেন না তার নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন নেতা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ শোভন চট্টোপাধ্যায় এই বেহালাকে হাতের তালুর মত চেনেন।

বিজেপিতে যাওয়ার পর সেভাবে তিনি সক্রিয় রাজনীতি না করলেও, এবার আবার ময়দানে নামতে শুরু করেছেন। আর মাঠে নেমেই যেভাবে প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, তাতে তৃণমূলের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে। আর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এবার বেহালায় এসে যেভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেল কলকাতা পৌরসভার প্রাক্তন মেয়রকে, তাতে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে শোভন চট্টোপাধ্যায় এই কথা বললেও, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যিনি নিজেই মিটিং করতে পারছেন না, তার কথার উত্তর দিয়ে লাভটা কি! আমি ওখানে চার বার জিতেছি। উনি হেরেছেন। ওকে বলব, ঘর সামলান। পরে দেখবেন বিধানসভা।” একইভাবে এই ব্যাপারে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

এদিন তিনি বলেন, “তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। উপরন্তু তার ওপর অনেক বেশি মানসিক চাপ দেওয়া হচ্ছে। তাই তিনি কাজ করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে এখন রোড শো করছেন। ছোটবেলার বন্ধু শোভনের এই অবস্থার জন্য আমি কষ্ট পাচ্ছি। আমার খারাপ লাগছে।” বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূলের এখন সবথেকে বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল থেকে বেরিয়ে হেভিওয়েট নেতারা বিজেপিতে যোগদান করার সাথে সাথেই ঘাসফুল শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। এক সময় মেয়র থাকার সুবাদে গোটা কলকাতাকে তিনি হাতের তালুর মত চেনেন। তাই বিজেপিতে যোগদান করার পর সেভাবে তাকে সক্রিয় হতে দেখা না গেলেও এবার ময়দানে নেমে রীতিমত বেহালাতে রোড শো করে তৃণমূলের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়। যেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আর বিধানসভায় যেতে হবে না বলে তাকে পরাজিত করে দেওয়ার বার্তায় দিতে চাইলেন প্রাক্তন এই তৃণমূল নেতা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!