এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > পার্টি অফিসেই তুমুল মারামারি ২ গোষ্ঠীর, মার খেলেন খোদ সভাপতি! তীব্র অস্বস্তিতে বিজেপি শিবির

পার্টি অফিসেই তুমুল মারামারি ২ গোষ্ঠীর, মার খেলেন খোদ সভাপতি! তীব্র অস্বস্তিতে বিজেপি শিবির


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  গোষ্ঠী কোন্দলের চিত্র বিজেপিতে। নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে দলের কার্যালয়ের ভেতরে মার খেতে দেখা গেল নদীয়া জেলার উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশুতোষ পালকে। ব্যাপক ধস্তাধস্তি চললো, মারধর করে জামা ছিড়ে দেওয়া হল উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতির। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে মার খেলেন অন্যান্য কর্মীরাও। গতকাল বৃহস্পতিবার এমন ঘটনা ঘটলো নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে।

গতকাল দলের এই তীব্র মারামারি পার্টি অফিস থেকে শেষ পর্যন্ত ছড়িয়ে পরলো রাজপথে। রাজপথের ধারে বিজেপির বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর সদস্যরা জড়িয়ে পড়লেন মারামারিতে। দলের পতাকা নিয়ে একজন আরেকজনের উপরে ঝাপিয়ে পড়লেন। মাটিতে ফেলে দিয়ে লাথি, কিল, ঘুষি চললো। অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থেকে সবকিছু দেখলেন জেলা সভাপতি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে দলের এই গোষ্ঠী কোন্দল দেখে অত্যন্ত আশঙ্কিত হলেন বিজেপির বহু নেতাকর্মী।

প্রসঙ্গত, বিজেপির উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আশুতোষ পাল মন্ডল কমিটি থেকে মহাদেব সরকারকে অপসারণ করে দেবার পর থেকে শুরু হয়েছে এই দ্বন্দ্ব। গতকাল তেহট্ট থেকে আসা ৯ নম্বর জেলা পরিষদ মন্ডল কমিটির মহিলা মোর্চার সভাপতি অঞ্জলি রায় এ প্রসঙ্গে জানান যে, তাঁরা বুঝতে পারছেন না এরা তৃণমূলের লোক, নাকি এরা বিজেপির লোক? না হলে ভোটের অল্প সময় আগে এভাবে কেউ মন্ডল সভাপতিকে অপসারিত করেন? তিনি অভিযোগ করেছেন যে, আশুতোষ পাল দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দলকে দুর্বল করে দিতে চাইছেন। কিন্তু তা তারা হতে দিতে চান না। গতকাল এই গন্ডগোল
দেখে এক বিজেপি কর্মী জানালেন যে, এরপর তাঁরা কোন মুখে মানুষের কাছে ভোট চাইবেন। এই ঘটনা দেখে তিনি মনে করছেন যে, কর্মীরা জেলার আসনগুলো তৃণমূলকে উপহার দিতে চাইছে।

প্রসঙ্গত, গত ২০০৯ সালে নদীয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মহাদেব সরকারকে অপসারিত করে, সে খানে আনা হয় আশুতোষ পালকে। যে কারণে মহাদেব সরকারের অনুগামীরা প্রথম থেকেই খুব্ধ ছিলেন। বিরোধিতা চলছিলো বারবার। এরপর জেলা কমিটি থেকে মহাদেব সরকারের অনুগামীদের অপসারিত করেন আশুতোষ পাল। এর ফলে অসন্তোষ তীব্র হয়। এরপর কিছুদিন আগে ন’জন মণ্ডল সভাপতিকে অপসারিত করেন আশুতোষ পাল। যারা এর তীব্র বিরোধিতা শুরু করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল এক দলীয় সভায় কৃষ্ণনগরের নিকটবর্তী আসাননগরে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আসাননগরে দিলীপ ঘোষের দলীয় সভায় যাওয়ার আগে কৃষ্ণনগরের উকিলপাড়ায় অনুগামীদের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন আশুতোষ পাল। এসময় তেহট্ট, নবদ্বীপ, ধুবুলিয়া ইত্যাদি এলাকা যেখানে মন্ডল সভাপতিদের অপসারণ করা হয়েছে, সেখান থেকে প্রচুর বিজেপি কর্মী সমর্থক উপস্থিত হন। মন্ডল সভাপতিদের কেন অপসারণ করা হলো? তা নিয়ে তারা প্রশ্ন করেন আশুতোষ পালকে। এরপর শুরু হয় দুপক্ষের কথা-কাটাকাটি, তারপর শুরু হয় মারামারি। কার্যালয়ের ভেতরে চেয়ার-টেবিল উল্টে দেয়া হয়। আশুতোষ বাবু সকলকে হাত জোড় করে শান্ত হতে অনুরোধ করেন। তারপর তাঁর উপরে আক্রমণ করেন বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর বেশ কিছু নেতাকর্মী।

গন্ডগোল পার্টি অফিসের বাইরে চ্যালেঞ্জ মোড় পর্যন্ত চলে আসে। মহিলারাও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। গন্ডগোল প্রসঙ্গে ধুবুলিয়ার ২৭ নম্বর জেলা পরিষদ মণ্ডলের সদ্য অপসারিত সভাপতি স্নেহাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন যে, তাঁরা জেলা সভাপতির কাছে জানতে এসেছিলেন, অপসারণের কারণ। তাদের লোকজন শান্তই ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আশুতোষ বাবুর অনুগামীরা চড়াও হয়ে মারধর করতে শুরু করে। তবে, আশুতোষ বাবুর অনুগামীদের দাবি, মহাদেব সরকারের অনুগামীরাই গন্ডগোল লাগিয়েছে। আশুতোষ বাবুকে মার খেতে দেখে তারা বাঁচাতে গিয়েছিলেন। তাদেরকেও মারধর করা হয়েছে।

তবে, এ প্রসঙ্গে আশুতোষ বাবু কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি শুধু জানিয়েছেন যে, রাজ্য সভাপতি আসছেন, যা বলার তাঁকেই বলবেন তিনি। তবে, তাঁর অনুগামীরা মহাদেব সরকারকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত করেছেন। অপসারিতরা সকলেই হলেন মহাদেব সরকারের অনুগামী, তার নির্দেশেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁদের অভিযোগ।তবে, এ প্রসঙ্গে মহাদেব সরকার জানিয়েছেন যে, তিনি সংগঠনের কাজে মেদিনীপুর ও হুগলিতে আছেন। তাই সেখানে কি ঘটেছে? তা খোঁজ নিয়ে দেখবেন তিনি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠদের কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না বলে তাঁর দাবি। এই ঘটনায় তৃণমূল জড়িত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে, নদীয়া জেলা তৃণমূল মুখপাত্র দেবাশিস রায় এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ” এ কথায় ঘোড়াতেও হাসবে। যারা নিজের দলের জেলা সভাপতিকে মারধর করতে পারে, তাদের কথার উত্তর আমরা দে‌ব না, মানুষ দেবে।” এভাবেই গতকাল তীব্র গোষ্ঠী কোন্দল দেখা গেল নদীয়া জেলা বিজেপি শিবিরে।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!