দলের ‘একনিষ্ঠ কর্মী’ মিহিরের দলত্যাগে ভেঙে চুরমার কনফিডেন্স? পিকে নিচ্ছে বড়সড় পদক্ষেপ ! জাতীয় তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য December 3, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি কোচবিহার জেলার তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী যোগদান করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। আর তারপর থেকেই সেই জেলার বিভিন্ন তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের উপর নজর রাখতে শুরু করেছে প্রশান্ত কিশোরের টিম। যেখানে প্রতিটি নেতার কাছে পৌঁছে গিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন তারা। নেতাদের বাড়ির উপর নজর পর্যন্ত রেখেছেন এই প্রশান্ত কিশোরের টিমের সদস্যরা। মাঝেমধ্যেই ফোন করে তাদের মন বোঝার চেষ্টা চলছে। কেননা ইতিমধ্যেই বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মিহির গোস্বামীর পর গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধি এবং হেভিওয়েট নেতা পদ্ম শিবিরে নাম লেখাবেন। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে যাতে কোচবিহার জেলার আর কেউ বিজেপিতে নাম না লেখান, তার জন্য এখন সকলের প্রতি নজরদারি চালাতে শুরু করেছে সেই প্রশান্ত কিশোরের টিম। যেখানে আগেভাগেই তাদের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে। যার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে গোটা কোচবিহার জেলা জুড়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোচবিহার জেলার বিধানসভায় নটি আসনের মধ্যে আটটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। প্রায় প্রথম দিন থেকেই তৃনমূল কংগ্রেসের সৈনিক হিসেবে পরিচিত মিহির গোস্বামী। কিন্তু সাম্প্রতিককালে তিনি যোগ দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। আর তারপর থেকেই কোচবিহার জেলার রাজনীতিতে জল্পনা ক্রমশ প্রবণ হতে শুরু করেছে অনেকেই দাবি করতে শুরু করেছেন, মিহির গোস্বামীকে বিজেপিতে যোগদান করতে দেখে তৃণমূলের অনেকেই হতাশায় ভুগতে শুরু করেছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের এই সৈনিক বিজেপিতে নাম লেখাতে পারেন, এটা কেউ কল্পনা করতে পারেনি। ফলে তিনি যদি বিজেপিতে নাম লেখান, তাহলে তার পথ অনুসরণ করে তৃণমূলের অনেকেই এখন গেরুয়া শিবিরে পা বাড়াতে পারেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। তাই এই পরিস্থিতিতে নিজেদের ঘর রক্ষা করতে এবার প্রশান্ত কিশোরের টিমের পক্ষ থেকে কোচবিহার জেলার সমস্ত তৃণমূল নেতার ওপর নজর রাখা হচ্ছে। এদিন এই প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল বিধায়ক বলেন, পিকে টিমের সদস্যরা আগের থেকে অনেক বেশী যোগাযোগ রাখছেন। আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। আমি বলেছি, অন্য দিকে দেখুন। ঘরে শুধু নয়, বাড়ির বাইরে বসে থাকছেন ওরা। মনে হয়, উপর থেকে চাপ রয়েছে।” এদিকে এই ব্যাপারে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “আমি বিষ পান করতেও রাজি। কিন্তু দলবদল করব না। বিজেপির পক্ষে মানুষ নেই।” অন্যদিকে কেউ বিজেপিতে যাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর তথা বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান। এদিকে এই ব্যাপারে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় বলেন, “কেউ বিজেপিতে যোগ দেবেন না।” তবে মুখে তৃণমূল নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা যে কথাই বলুন না কেন, পরিস্থিতি যে আশঙ্কা প্রবন হয়ে পড়েছে এবং তার কারণেই যে প্রশান্ত কিশোরের টিমের পক্ষ থেকে এই জেলার সমস্ত তৃণমূল নেতাদের ওপর নজরদারি রাখা হচ্ছে, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -