এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দুর্নীতি নিয়ে রাজীব ব্যানার্জি সরব হলেও, আপাতত নীরব শুভেন্দু অধিকারী! ক্রমশ বাড়ছে গুঞ্জন

দুর্নীতি নিয়ে রাজীব ব্যানার্জি সরব হলেও, আপাতত নীরব শুভেন্দু অধিকারী! ক্রমশ বাড়ছে গুঞ্জন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টতৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ কথা হলেও, বেশ কিছু নেতা এবং মন্ত্রী রয়েছেন, যারা নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি দিয়ে দলের ভোটব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম। এর মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী নামটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেশ কিছুদিন ধরে তাকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা চলছে। তবে এরই মাঝে তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতির বিরুদ্ধে গ্রহণ করছে পদক্ষেপ।

যার ফলে সম্প্রতি হাওড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরূপ রায় বেশ কিছু নেতাকর্মীকে সাসপেন্ড করার পর সেই ব্যাপারে মুখ খুলেছিলেন জেলার কো-অর্ডিনেটর তথা রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুধুমাত্র নীচুতলা নয়, একদম রাঘববোয়ালদের দুর্নীতির জন্য ধরতে হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। যার ফলে কার্যত আলোড়ন পড়ে যায় গোটা তৃণমূলের অন্দরমহলে। প্রায় কমবেশি সব জায়গাতেই ভয়াবহ দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ নিয়ে তৃণমূলের নানা নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল।

অনেকেই ভেবেছিলেন, যেহেতু শুভেন্দু অধিকারী কারো কেয়ার করেন না, সেহেতু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নেতা যখন দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা নিয়ে সোচ্চার হলেন, তখন শুভেন্দু অধিকারীর মত নেতা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার রাস্তায় হাঁটবেন।

তবে আশ্চর্যজনকভাবে বাঁকুড়ায় এসেও বেলশুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি বাক্যও প্রয়োগ করলেন না জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

জানা যায়, সম্প্রতি এই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর এই তৃণমূলের প্রতিনিধি দল সেখানে তদন্ত করে। গোটা ঘটনায় রিপোর্ট শুভেন্দু অধিকারীকে দেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেন জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল। সেই মত শুভেন্দু অধিকারী যখন একুশে জুলাইয়ের প্রচার সভা করতে বাঁকুড়া আসছেন, তখন এই পঞ্চায়েতে দুর্নীতি নিয়ে তিনি কিছুটা হলেও মুখ খুলবেন বলে আশা করেছিল রাজনৈতিক মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু সেই প্রসঙ্গে একটি কথাও শোনা গেল না শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। এদিন বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা শেষ করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। আর সেখানেই তাকে বেলশুলিয়া পঞ্চায়েতের সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “লোকসভা ভোটের পর দায়িত্ব নিয়ে জেলার বহু জায়গায় সমস্যা সমাধান করেছিলাম। রায়পুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ঠিক করা যাচ্ছিল না। ওন্দাতেও সাংগঠনিক সমস্যা ছিল। সব সমাধান করেছি। পুরুলিয়ায় সমস্যা ছিল, তাও মিটিয়ে দিয়েছি। করোনা পরিস্থিতিতে কর্মীদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলা যাচ্ছে না। আগামী দিনে যা সমস্যা আসবে, তা মেটাব।”

কিন্তু যে বিষয় নিয়ে কর্মী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল সকলেই শুভেন্দু অধিকারীর মুখ থেকে কিছু শোনার আশা করছিলেন, কেন সেই বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে গেলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী? তাহলে কি তিনি অনুভব করেছেন যে, সত্যি সত্যিই দুর্নীতি হয়েছে! আর তাই তিনি গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা সত্ত্বেও, নীরবে-নিভৃতে থাকলেন! এখন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

বিরোধীদের দাবি, আসলে তৃণমূলের কেউ এখন সাধুপুরুষ নয়। প্রত্যেকেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তাই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উঠলেই প্রত্যেকে মুখে কুলুপ আটছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর যে শুভেন্দু অধিকারীর গলায় সবসময় শোনা যেত স্বচ্ছতার সুর, সেই শুভেন্দু অধিকারী বাঁকুড়ায় এসে কড়া পদক্ষেপ নেবেন বলে কর্মীদের মধ্যে আশার আলো তৈরি হয়েছিল।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই ব্যাপারে তিনি কোনোরূপ মন্তব্য না করায় জল্পনা বাড়তে শুরু করল রাজনৈতিক মহলে। সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!