এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পশ্চিমবঙ্গে বিজেপ‌ির শক্তিবৃদ্ধির জন্য দায়ী কে? স্পষ্ট করলেন সুজন

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপ‌ির শক্তিবৃদ্ধির জন্য দায়ী কে? স্পষ্ট করলেন সুজন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ নিজের শক্তি বাড়াচ্ছে বিজেপি। গত ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে যাদের সাংসদ সংখ্যা ছিল মাত্র ২, গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে তারা সে সংখ্যা বাড়িয়ে করেছে ১৮। নিজেদের সাংগঠনিক শক্তিও যথেষ্টভাবে বাড়িয়েছে বিজেপি, আর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসকদল তৃণমূলের। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির এই বাড়বাড়ন্তের কারণ কি? পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের জন্য রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকেই দায়ী করলেন যাদবপুরের সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী।

গতকাল শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের বুড়াল গ্রামের এক জনসভায় বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী জানালেন যে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ী হলো তৃণমূল। বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গে এনেছে তৃণমূল। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মুখপাত্র তাপস রায় জানালেন যে, সুজন চক্রবর্তী হয়তো ১৯৮৯ সালের কথা ভুলে গেছেন। অথবা সে সময় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না তিনি।

গতকাল পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের বুড়াল গ্রামের জনসভায় সুজন চক্রবর্তী জানালেন যে, ১০ বছর আগে জনগণ ভেবেছিলেন যে, তৃণমূল সরকারকে তাঁরা ক্ষমতায় আনবেন। তবে, তাঁর দাবি, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না হলে তৃণমূল কিছুতেই বাংলার ক্ষমতায় আসতে পারত না। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর এই মন্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায় জানালেন যে, সিপিএম একসময় প্রবল কংগ্রেস বিরোধি ছিল। এখন তারা দলের নীতি বদলেছে। তাঁর কথায়, সিপিএম ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীর অন্ধ বিরোধী ছিল। রাজীব গান্ধীর প্রবল বিরোধিতা করতে গিয়ে ১৯৮৯ সালে শহীদ মিনারে অটল বিহারি বাজপেয়ি, জ্যোতি বসু প্রমুখেরা জনসভা করেছিলেন। তাঁর কথায়, সুজন চক্রবর্তী হয়তো সেদিনের কথা ভুলে গেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূল সম্পর্কে সুজন চক্রবর্তী একাধিক মন্তব্য করার পর রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায় জানালেন যে, সম্প্রতি বিজেপির ভোট বাড়ার জন্য দায়ী সিপিএম। তাঁর দাবি, সিপিএম নেতা বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র সহ আরও অনেক নেতা ভোটের আগে ও পরে স্বীকার করে নিয়েছেন যে, গত ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে তাঁদের দলের বহু কর্মী-সমর্থক বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। তাই তাঁর কথায়, সুজন বাবু আগে নিজেই ভেবে দেখুন যে, এ সমস্ত কথা তাঁর মুখে মানায় কিনা।

গতকাল এভাবেই দুদলের দুনেতার তরজায় সরগরম হল রাজ্য রাজনীতি। প্রসঙ্গত, শীতের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিবেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। একদিকে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টায় ব্যস্ত শাসকদল তৃণমূল, অন্যদিকে রাজ্যে ক্ষমতা দখলের চেষ্টায় প্রবলভাবে সক্রিয় বিজেপি। আবার বাম ও কংগ্রেস জোট বদ্ধ হয়ে উক্ত দুই দলকে কুপোকাত করতে ব্যস্ত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!