ডাকঘরের ‘পাস বইয়ে এন্ট্রি’ অথচ অ্যাকাউন্টে জমা পড়েনি টাকা, কোটি কোটি টাকা প্রতারিত কয়েকশো, নির্বিকার প্রশাসন রাজ্য December 2, 2018 পোস্ট অফিসের স্ট্যাম্প দেওয়া বইয়ে ঠিক কত টাকা রয়েছে তা লেখা থাকলেও সেই পোস্ট অফিসের কম্পিউটারে তাদের অ্যাকাউন্টের কোনো টাকার হদিস মিলছে না- আর আশ্চর্য এই ঘটনায় প্রবল সংকটে পড়েছেন বলাগড় থানার শ্রীপুর উপডাকঘরের প্রায় কয়েকশো গ্রাহক। সূত্রের খবর, এমআইএস, রেকারিং, ডিপোজিট ও সেভিংস সহ প্রায় 6 কোটি টাকার কোনো হদিসই পাচ্ছেন না এখানকার সিংহভাগ গ্রাহকেরা। আর আর জেরে এখন প্রবল দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটছে তাদের। প্রসঙ্গত, এই শ্রীপুর উপডাকঘরের অধীনে শ্রীপুর, সোমরাবাজার, চাঁদরা,তেতুলিয়া, ভবানীপুর গ্রাম সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ নির্ভরশীল। অভিযোগ, এই পোস্ট অফিসেই প্রায় 23 বছর ধরে এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন শ্রীপুরের বাসিন্দা ধর্ম মোদক নামে এক ব্যক্তি। ফলে প্রত্যেকের কাছেই প্রায় বিশ্বস্ত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই বিগত তিন মাস আগে এই পোস্ট অফিসে নতুন পোস্টমাস্টার আসার পরই এখানকারই এক গ্রাহক নবনীতা প্রামাণিক জানতে পারেন যে, সেই ধর্ম মোদক বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে এখান থেকে বেশ কয়েক কোটি টাকা জালিয়াতি করেছে। আর এরপরেই সকলে নড়ে চড়ে বসলে গত অক্টোবর মাসের শুরুতেই নিজের বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে চম্পট দেয় সেই ধর্ম মোদক। এদিকে নিজেদের জমানো টাকা সঞ্চয় না হয়ে এইভাবে প্রতারিত হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে এই পোস্ট অফিসের গ্রাহক সন্ধ্যা ঘোষ, আশিস ঘোষ এবং আশালতা সাধুখার মতো ব্যক্তিদের। এদিন তারা প্রত্যেকেই বলেন, “পোস্টঅফিসেও যদি এইভাবে প্রতারণার মুখে পড়তে হয়, তাহলে আমাদের মত সাধারন মানুষ জীবনের শেষ সম্বলটুকু নিরাপদে কোথায় রাখবে?” এদিকে এই পোস্ট অফিসে টাকা রেখে সর্বস্বান্ত হওয়া মানুষেরা বলাগড় থানা, পোস্ট অফিসের সুপারিনটেনডেন্ট, জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ঠিক কবে তারা সুবিচার পাবেন? এদিন এই প্রসঙ্গে শ্রীপুর বাজার উপডাকঘরের পোস্টমাস্টার ইনচার্জ সুমিত দত্ত বলেন, “কিছু আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বলে শুনেছি। তবে এখানকার দায়িত্বে যিনি রয়েছেন তিনি ছুটিতে আছেন। আমি এর থেকে বেশি কিছুই বলতে পারব না।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে অন্যদিকে এই ব্যাপারে হুগলি জেলা পোস্ট অফিস সুপারিনটেনডেন্ট আনন্দ চক্রবর্তী বলেন, “গ্রাহকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরই বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সব মিলিয়ে এবার বলাগড় থানার শ্রীপুর উপ ডাকঘরের কয়েকশো গ্রাহকের প্রতারিত হওয়ার ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল। আপনার মতামত জানান -