এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > সারা বিশ্বকে চমকে মাত্র ৫-১৪ দিনেই করোনা সরিয়ে ফেলার বিস্ফোরক দাবি বাবা রামদেবের পতঞ্জলির!

সারা বিশ্বকে চমকে মাত্র ৫-১৪ দিনেই করোনা সরিয়ে ফেলার বিস্ফোরক দাবি বাবা রামদেবের পতঞ্জলির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভারতে যেভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিদিন নতুনভাবে রেকর্ড গড়ে, তা রীতিমতো আতঙ্কিত করে তুলেছে দেশের জনগণকে। অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার যে যথেষ্ট চাপের মুখে তা এইমুহুর্তে বলার অপেক্ষা রাখেনা বলে মত বিশেষজ্ঞদের। দেশের করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন চেষ্টা চালানো হচ্ছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে যেটা সর্বাগ্রে প্রয়োজন ওষুধ এবং ভ্যাকসিন। কিন্তু সেটাই এখনও পর্যন্ত ভারত সরকারের হাতে নেই।

তবে নির্দিষ্ট ওষুধ বা ভ্যাকসিন না থাকার জন্য সারাদেশ শুধু না, সারা বিশ্ব আজ মারাত্মক সংকটের মুখোমুখি। এই পরিস্থিতি থেকে দেশের মানুষকে কিছুটা রেহাই দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সংস্থা আয়ুর্বেদকে হাতিয়ার করে তুলছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই আয়ুর্বেদ এর জগতে পরিচিত নাম ‘পতঞ্জলি’ দাবি করছে তারা করোনা প্রতিরোধকারী ওষুধ তৈরি করছে। এই দাবি করেছেন পতঞ্জলি সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আচার্য বালাকৃষ্ণ।

ইতিমধ্যেই তিনি দাবি করেছেন, আয়ুর্বেদিক এই ওষুধ মাত্র 5 থেকে 14 দিনের মধ্যে করোনা আক্রান্তকে পুরোপুরি সুস্থ করে তুলবে। অন্যদিকে পতঞ্জলি সংস্থার সিইওর এই দাবি শুনে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে দেশজুড়ে। ইতিমধ্যে হরিদ্বারে পতঞ্জলির বিশাল কর্মস্থানে সাংবাদিক সম্মেলন করে আচার্য বালাকৃষ্ণ জানিয়েছেন, যখন থেকে করোনা ভাইরাস মহামারীর আকার ধারণ করেছে তখন থেকেই তাঁদের সংস্থা আয়ুর্বেদকে হাতিয়ার করে তাঁর মাধ্যমে ওষুধ তৈরি করার জন্য বিজ্ঞানীদের একটি দল তৈরি করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রথম অবস্থায় যৌগগুলিকে চিহ্নিত করা হয় এবং সিমুলেশন করা হয়। এর পরবর্তীতে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এবং এই ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে পারে এমন কতগুলি যৌগকে বেছে নিয়ে ওষুধ তৈরি করার প্রক্রিয়া চলছে। একই সঙ্গে বালাকৃষ্ণ দাবি করেছেন, আয়ুর্বেদিককে হাতিয়ার করে অবশ্যই করোনার প্রতিরোধ সম্ভব। এ প্রসঙ্গে আরও জানা গেছে, এই মুহূর্তে আয়ুর্বেদিক যে ওষুধটি পতঞ্জলি তৈরি করছে তার নিয়ন্ত্রিত ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে।

তবে পতঞ্জলির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এক সপ্তাহের কম সময়ে করোনা রোগীর এই ওষুধ খেয়ে সুস্থ হওয়ার প্রমাণ প্রকাশ করা হবে। শুধু তাই নয় – দাবি করা হচ্ছে, মাত্র 5 থেকে 14 দিনের মধ্যে ক্লিনিক্যালী ওষুধ প্রয়োগে রোগী সেরে উঠছেন এবং পরবর্তীতে তাঁর রক্তের রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ আসছে। অন্যদিকে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভাবে ভেষজ ওষুধ কাজে লাগানো হচ্ছে বলে খবর। আপাতত এই মহামারী পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ এই মুহূর্তে আতঙ্কে দিশাহারা।

যেকোনোভাবে তাঁরা করোনা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই সময় যদি পতঞ্জলি বা কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রকের নির্ধারিত ভেষজ ওষুধ বাজারে আসে, তাহলে অবশ্যই তা দেশের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সারা বিশ্বে এই মুহূর্তে করোনার ওষুধ ও ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা ও চিকিৎসকরা জীবনপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই অবস্থায় ভারতে করোনা সংক্রমণ যে ভাবে ব্যাপকহারে ছড়াচ্ছে, তাই এই মুহূর্তে যেকোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করাই একমাত্র লক্ষ্য দেশের সরকারের। তাই আয়ুর্বেদিক বা অ্যালোপ্যাথিক যে ওষুধই সামনে আসুক না কেন, সাধারণ মানুষ কিন্তু তাকেই আঁকড়ে ধরবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, বাবা রামদেবের বিখ্যাত সংস্থা পতঞ্জলি যেভাবে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করে ফেলার দাবি করেছে, তাতে রীতিমত হইচই পরে গেছে। এখন সত্যিই তা করোনা রুখতে পারে কিনা – সেই সরকারি ঘোষণার দিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!