এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > BIG BREAKING NEWS – এই মাসেই নবান্নে জমা পড়তে চলেছে পে-কমিশনের রিপোর্ট

BIG BREAKING NEWS – এই মাসেই নবান্নে জমা পড়তে চলেছে পে-কমিশনের রিপোর্ট


গতকালই এক প্রতিবেদনে আমরা জানিয়েছিলাম, আজ পে-কমিশনের দাবিতে সরকারি কর্মচারী পরিষদের নেতৃত্বে রাজ্য সরকারের ঘুম ওড়াতে চলেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। আজ সরকারী কর্মচারী পরিষদের ডাকে “পে কমিশন দপ্তর চলো” কর্মসূচী পালন করার কথা ছিল। নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বিধাননগর করুণাময়ী মোড় থেকে দুপুর ২ টোয় রাজ্য সরকারী কর্মচারী ও রাজ্য সরকার পোষিত কর্মচারী বন্ধুদের সম্মিলিত শৃঙ্খলাবদ্ধ মিছিল বিকাশ ভবনের দিকে এগোতে থাকে।

আজকের কর্মসূচি সরকারি কর্মচারী পরিষদের নেতৃত্বে হলেও মিলে গিয়েছিল সব রঙ। কর্মসূচির প্রধান উদ্যোক্তা সরকারি কর্মচারী পরিষদের রাজ্য আহ্বায়ক দেবাশীষ শীল দাবি করেন, বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন তৎকালীন শাসকদল বামফ্রন্টকে বিঁধে, সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতেন, যে সরকার সরকারি কর্মীদের পাওনা-গন্ডা মেটাতে পারে না, তাদের একমুহূর্তও সরকারে থাকার অধিকার নেই। কিন্তু, শাসকের আসনে বসার পর নিজের প্রতিশ্রুতির কথা মনে রাখা তো দূরের কথা, সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের বঞ্চনা বাম আমলকেও ছাড়িয়ে গিয়ে চরমে উঠেছে বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দেবাশীষবাবু আরও জানান, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে ডিএর ফারাক কখনও ৪৯%, তো কখনও ৫৬% পর্যন্ত হয়েছে। সময়ে ডিএ তো দূরের কথা, উল্টে মুখ্যমন্ত্রী ডিএর দাবিকে ‘ঘেউ ঘেউ’ করা বলে চূড়ান্ত অপমান করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলেই সারা ভারতের সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ষষ্ঠ পে কমিশন কমিটি চার বছর পূর্ণ করতে চলেছে। ফলে, দলমত নির্বিশেষে সকল রাজ্য সরকারি কর্মচারীই চরমভাবে বঞ্চিত, তাঁদের জীবন ওষ্ঠাগত হতে চলেছে।

দেবাশীষবাবু জানিয়েছেন, ফলে, আজ আমাদের ডাকা কর্মসূচিতে, দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা যোগ দেন। কেননা বঞ্চনা তো আর রাজনৈতিক রঙ দেখে হয় না – ফলে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সুবীর সাহা, সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন, কলকাতা পৌরসভা কর্মচারী নিগম, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী পরিষদ সহ বহু সংগঠনের বহু প্রতিনিধি আমাদের এই কর্মসূচিতে আজ যোগ দিয়ে তাঁদের নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন। আমাদের কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল ও আজ আমাদের বিশাল নৈতিক জয় হয়েছে।

কিন্তু কিসের ভিত্তিতে এত বড় দাবি করছেন দেবাশীষবাবু? প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমাদের নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা বিকাশ ভবনের দিকে এগোতে শুরু করলেই পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। ফলে, আমরা রাস্তায় বসেই ধর্ণা-আন্দোলন শুরু করি। এরপর আমাদের তরফে এক প্রতিনিধিদল পে-কমিশন অফিসে গিয়ে এক স্মারকলিপি জমা দিই। যেখানে স্পষ্ট দাবি করা হয়, হয় জুলাই মাসের মধ্যে পে-কমিশনের রিপোর্ট জমা করুন চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকার অথবা তিনি এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিন।

এরপরেই দেবাশীষবাবু রাজ্যের সকল সরকারি কর্মচারীদের মুখে হাসি ফোটানো খবরটি জানান। তিনি বলেন, স্মারকলিপি জমা নিয়ে পে কমিশনের পদস্থ আমলারা জানিয়েছেন, পে কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকার তাঁদের বলতে অনুমতি দিয়েছেন যে পে কমিশনের রিপোর্ট খুব শীঘ্রই নবান্নে জমা পড়তে চলেছে। সরকারি কর্মচারী পরিষদের রাজ্য আহ্বায়ক দেবাশীষ শীলের নেতৃত্বে তখন প্রতিনিধিদল জানতে চান, শীঘ্র মানে কবে? ওই পদস্থ আমলারা জানান, স্মারকলিপি করা দাবীমত জুলাই মাসেই তা জমা পড়তে চলেছে। ফলে, সরকারি কর্মচারী পরিষদের কর্মসূচির জেরে আজ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য এক বিশাল বড় সুখবর ও নৈতিক জয় সামনে এল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

পে-কমিশন নিয়ে ঐতিহাসিক আন্দোলন কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে রাস্তায় বসেই প্রতিবাদে দেবাশীষ শীল, সুবীর সাহা, পিন্টু পাড়ুই, মন্মথ বিশ্বাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
পে-কমিশনে জমা দেওয়া সরকারি কর্মচারী পরিষদের স্মারকলিপির রিসিভড কপি।
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!