প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নন্দীগ্রামে মনোনয়নপত্র জমা করা দিনেই পায়ে আঘাত লেগেছিল তার। আর তারপরেই নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভর্তি করা হয়েছিল কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। সম্প্রতি ছাড়া পেয়েছেন তিনি। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সাবধানে থাকতে হবে তাকে। ব্যবহার করতে হবে হুইলচেয়ার। নন্দীগ্রাম দিবসের দিন সেই হুইলচেয়ার করেই রাস্তায় নামতে দেখা গেছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

অনেকেই বলছেন, সহানুভূতি পাওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের কর্মসূচি করছেন। যদিও বা আর তাতে কান দিতে নারাজ শাসক পক্ষ। আর এই পরিস্থিতিতে তার পায়ে যন্ত্রণা হলেও, মানুষের ব্যথা তার থেকে অনেক বেশি বলে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। পায়ে চোট লাগার পর প্রথম কোনো প্রকাশ্য কর্মসূচিতে আসার আগে এই নিয়ে ট্যুইট করতে দেখা গেল তাকে। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, আজ মেয়ো রোড থেকে মিছিল শুরু হওয়ার আগে একটি টুইট বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি লেখেন, “আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। আমার এখনও যন্ত্রণা হচ্ছে। কিন্তু মানুষের ব্যথা আমার চেয়ে বেশি‌। আমাদের শ্রদ্ধেয় মাটিকে রক্ষা করতে অনেক লড়াই করেছা। আরও কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। কিন্তু কাপুরুষদের সামনে মাথা নত করব না।”

অর্থাৎ নাম না করে বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তার যতই কষ্ট হোক, তিনি যে মানুষের জন্য লড়াই করে যাবেন, তা এই ট্যুইটের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, নন্দীগ্রাম দিবসের দিন এই হুইলচেয়ার করে রাস্তায় নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের আবেগ নিজের পক্ষে আনার চেষ্টা করলেন বলেও দাবি করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লড়াকু নেত্রী বলেই জানেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের সময় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই ব্যাকফুটে। দিনকে দিন বিজেপি প্রতিনিয়ত নানা ইস্যুতে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে রাজ্যের শাসক শিবির তৃণমূল কংগ্রেসকে।

আর এই পরিস্থিতিতে পাল্টা জবাব দিতে তারা যে কোনোভাবেই ময়দান ছেড়ে যাবেন না, তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীরা। আর এবার পায়ে আঘাত লাগলেও চিকিৎসকদের পরামর্শকে কার্যত উপেক্ষা করে হুইলচেয়ার করে রাস্তায় নামতে দেখা গেল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যার আগে টুইট বার্তা দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা শোনা গেল তার গলায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।