প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বর্তমানে রাজ্য থেকে শুরু করে জাতীয় রাজনীতিতে সবথেকে বড় ইস‌্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে পেগাসাস। যেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এভাবে ফোনে আড়িপাতার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি সংসদের ভেতরে এবং বাইরেও এই ব্যাপারে প্রতিবাদ শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সম্প্রতি সেই “পেগাসাস” কান্ড নিয়ে তদন্ত কমিশন গঠনের কথা জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জেরে তৃণমূল কিছুটা হলেও আশাবাদী। আর এই পরিস্থিতিতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে যেভাবে তদন্ত কমিশন গঠন করা হল, তা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

সূত্রের খবর, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় “পেগাসাস” কাণ্ড নিয়ে তদন্ত কমিশন গঠন করার কথা জানিয়ে দেন। আর তারপরেই তাকে “বেআইনি” বলে আখ্যা দিতে দেখা যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। এদিন এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তৃণমূল 302 লংঘন করেছে। আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। বিজেপিও প্রস্তুত। সঠিক সময় এলেই আইনি পদক্ষেপ করা হবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী, তৃণমূল বেআইনি কাজ করেছে। আইনি লড়াইটা আমরা লড়ে নেব। এটা কোনো মুখ্যমন্ত্রী বা ক্যাবিনেট করতে পারে না। এটা কেবলমাত্র সস্তার রাজনীতি।” আর মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে “পেগাসাস” নিয়ে তদন্ত কমিশন গঠন করে বিজেপিকে চাপে রাখার কৌশল অবলম্বন করার সাথে সাথেই তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে শোরগোল ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যাকে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধী তরজা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলেই মনে করছেন একাংশ।

একাংশ বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতা হিসেবে প্রতিটি বিষয়কে তুলে ধরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে সরকারের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। আর এই পরিস্থিতিতে “পেগাসাস” ইস্যু নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ করা হচ্ছে। আর তা নিয়ে তদন্ত কমিশন গঠন হতেই তাকে “বেআইনি” বলে দাবি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছুটা হলেও চাপে ফেলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।