প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পেগাসাস কান্ডের হাত ধরে এবার বিতর্কের শীর্ষে উঠে এলেন বর্তমান তৃণমূল নেতা মুকুল রায়। কার্যত বেশ কিছুদিন যাবৎ পেগাসাস বিতর্ক নিয়ে চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। গতকাল একুশে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও বেশিরভাগ সময় পেগাসাস বিতর্ক নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছে। কার্যত এই পেগাসাস বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে বিশ্বজোড়া 15 টি সংবাদমাধ্যমের 40 জন সাংবাদিক। দাবি করা হয় ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাসের মাধ্যমে গ্লোবাল সার্ভাইলেন্স হচ্ছে ক্রমাগত।

আর এই নিয়েই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ফেটে পড়েছে বিরোধীরা। কার্যত বাদল অধিবেশনের শুরুর দিন থেকেই এই নিয়ে বিরোধীরা সরব হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে গেরুয়া শিবির কার্যত পেগাসাস কাণ্ডে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীকে চুপ করাতে এবার মুকুল রায়ের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে তুলে ধরলেন। কার্যত মুকুল রায় যখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তখন তৃণমূলের বিরুদ্ধেই ফোন ট্যাপ করার অভিযোগ এনেছিলেন তিনি।

এমনকি তিনি সুপ্রিম কোর্টেও এই নিয়ে মামলা করেছিলেন বলে জানা যায়। আর এবার সেই বক্তব্যের ভিত্তিতে মুকুল রায়ের কোর্টে বল ঠেলে দিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তিনি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মুকুল রায় যে কথা বলেছিলেন, যে অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাহলে কি তা সর্বৈব মিথ্যা? শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই কি মুকুল রায় এ ধরনের দাবি করেছিলেন? আর এর পরেই শমীক ভট্টাচার্য মুকুল রায়ের উদ্দেশ্যে বলেন ‘উত্তর দিন, না হলে ক্ষমা চান।’

অন্যদিকে শমীক ভট্টাচার্য দিলীপ ঘোষের সুরেই জানিয়েছেন, ফোন ট্যাপ করার প্রবণতা তৃণমূলের, বিজেপি শিবিরে এ ধরনের কিছু নেই। কার্যত শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেন, তৃণমূল নেতাদের ফোনে পাওয়া যায়না। তাঁদের পেতে গেলে সেক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপে কল করতে হয়। সবমিলিয়ে ফোন ট্যাপ করার প্রসঙ্গে এবার মুকুল রায়কে কোণঠাসা করতে উদ্যত গেরুয়া শিবির। যদিও মুকুল রায়ের পক্ষ থেকে এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। সেক্ষেত্রে এবার মুকুল রায় কিভাবে গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ সামাল দেন, সে দিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।