এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতেও মিলছে না সুরাহা! ক্ষোভের পারদ চড়ছে গ্রাম বাংলায়!

মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতেও মিলছে না সুরাহা! ক্ষোভের পারদ চড়ছে গ্রাম বাংলায়!


করোনা ভাইরাসকে আটকাতে লকডাউনের মধ্যে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের চরম সমস্যা তৈরি হয়েছে। সমস্ত বাজার বন্ধ থাকায় কিভাবে তারা দিন গুজরান করবেন, তা নিয়ে মাথায় হাত পড়েছে অনেকেরই। আর এমত পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম রেশন ব্যবস্থা। যেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে প্রথমেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, যাদের রেশন কার্ড নেই, তারাও কুপনের মাধ্যমে পর্যাপ্ত রেশন পাবেন।

সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘোষণায় কিছুটা হলেও আশার আলো দেখেছিলেন হতদরিদ্র মানুষরা। তবে ঘোষণায় সার। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডিজিটাল রেশন কার্ড না থাকলেও কুপনের মাধ্যমে অনেকে রেশন পাবে বলে জানানো হলেও, এখনও এই ব্যাপারে সমস্যা রয়েই গেছে। অভিযোগ, দক্ষিণ 24 পরগনার ক্যানিং থেকে শুরু করে বাসন্তী, জয়নগর, গোসাবা, ভাঙড়, ডায়মন্ডহারবার, বারুইপুর, বিষ্ণুপুর সহ প্রায় সব জায়গা থেকেই প্রতিনিয়ত রেশন নিয়ে নানা অভিযোগ আসতে শুরু করেছে।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, অনেকের কার্ড না থাকায় তারা রেশন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এদিকে সরকারপক্ষের তরফে যখন বলা হচ্ছে, সকলে রেশন পাবেন, তখন কিছু মানুষ রেশন না পেয়ে রীতিমত ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন প্রশাসনের প্রতি। কোথাও কোথাও রেশন না পেয়ে ভাঙচুর করতেও উদ্যত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। যার ফলে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে প্রশাসন। কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার করে বলা হয়েছে, সকলে রেশন পাবেন, সেখানে কিছু মানুষ কেন রেশন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শুধুমাত্র কার্ড না থাকার জন্য? এদিনই প্রসঙ্গে ক্যানিং ওয়ান ব্লকের বাশড়া এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা যখন বিডিও অফিসে যাচ্ছি, তখন বিডিও অফিস থেকে বলা হচ্ছে, আপনার এলাকায় গিয়ে প্রধানের সঙ্গে কথা বলুন। প্রধানের কাছ থেকে কুপন নিয়ে আসলে তবে আপনারা ডিলারের থেকে রেশন সামগ্রী পাবেন। তবে যতদিন না নতুন করে ডিজিটাল কার্ড পাচ্ছেন, ততদিন এভাবে আপনারা রেশন পাবেন।”

এরপরেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “কিন্তু এলাকায় গেলে প্রধান বলছে, আমাদের কাছে কোনো খাদ্য কুপন নেই। বিডিও অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করুন। ফলে লকডাউনের সময় বিডিও অফিস এবং প্রধানের অফিস করতে করতেই সময় চলে যাচ্ছে। রেশন পাওয়া যাচ্ছে না।” একইভাবে এই ব্যাপারে রেশন সামগ্রী না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওই অঞ্চলের একের পর এক ব্যক্তি! আর দিন আনা দিন খাওয়া মানুষরা এভাবে রেশন না পাওয়ায় রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

কেন তারা রেশন পাচ্ছেন না! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “এই সমস্ত কার্ড নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা আছে। এক ব্যক্তি দু তিনবার করে ডিজিটাল কার্ডের দরখাস্ত করেছেন। তাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে অসুবিধা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ব্যক্তির নাম, ঠিকানাও ভুল আছে। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে, দ্রুত বিষয়টি মিটিয়ে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দিতে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে আখেরে অসুবিধায় পড়বেন সাধারন মানুষ। এখন সাত-পাঁচ না ভেবে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সকলের কাছে রেশন ব্যবস্থা পৌঁছে দেওয়া উচিত। কিন্তু তা করতে গিয়ে যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় মানুষ রেশন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা কার্যত বিশবাঁও জলে চলে যাচ্ছে বলেই মত বিশ্লেষকদের। এখন কবে রেশন ব্যবস্থার সুরাহা হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!