এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আমপানের থাবায় হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে মৃত্যু! ত্রাণ না পেয়ে জেলায় জেলায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি!

আমপানের থাবায় হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে মৃত্যু! ত্রাণ না পেয়ে জেলায় জেলায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি!


একদিকে করোনা ভাইরাস, আর তার মধ্যেই রাজ্যে এসে পড়েছিল ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমপান। ইতিমধ্যেই গোটা দক্ষিণবঙ্গে এই ভয়াবহ ঝড় তার দাপট চালিয়েছে। এইরকম তাণ্ডবলীলা শেষ কবে দেখেছে বাংলার মানুষ, তা আঁচ করতে পারছেন না কেউ। নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে ঝড়ের তান্ডব দেখার পর রীতিমতো হতাশ হতে দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে হতাশার সুর শোনা গিয়েছিল তার গলায়।

ঝড়ের তাণ্ডব থামার পর প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা প্রকাশ্যে আসবে বলে মনে করা হয়েছিল। আর সেই মত ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে রাজ্যের 86 জন মানুষের মৃত্যু হল বলে জানিয়ে দিল নবান্ন। সূত্রের খবর, শুক্রবার নবান্নের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজ্যে 27 জনের মৃত্যু হয়েছে গাছ চাপা পড়ে। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে 22 জন এবং দেওয়াল চাপা পড়ে 21 জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও সাপের কামড় সহ আরও বেশ কিছু কারণে কয়েক জন মারা গেছেন বলে জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।

আর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে মোট 86 জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানোর পরেই এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। এদিকে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের দাপট এখন কিছুটা হলেও শান্ত হওয়ায় পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে জলের ব্যবস্থা পর্যুদস্ত। কোথাও কোথাও এই দুর্দিনে ত্রাণ না পেয়ে সরব হয়েছে সাধারণ মানুষ। যেমন দক্ষিণ 24 পরগনায় ঘর হারানো বহু বাসিন্দা ত্রিপল পাননি বলে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইভাবে পূর্ব মেদিনীপুরেও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, দুই 24 পরগনা, কলকাতা এবং দুই মেদিনীপুরে এই ঝড়ের ফলে প্রবল ক্ষতি হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি 2 ব্লকের 10 হাজারের বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে। তবে এখানে মাত্র আড়াই হাজার ত্রিপল মজুত রয়েছে। অন্যদিকে নন্দীগ্রামে 2000 ত্রিপলের প্রয়োজন হলেও সেখানে দেওয়া হয়েছে মোটে 1400 ত্রিপল। আর এর ফলেই তৈরি হয়েছে সমস্যা। দুর্দিনে মানুষ একেই বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে।

তার মধ্যে এভাবে সঠিক মাত্রায় ত্রাণ না পাওয়ায় প্রবল সমস্যা গ্রাস করেছে তাদের। বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয়েছে বিক্ষোভ। এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, “প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কাজ করতে হচ্ছে। তবে দ্রুত সবকিছু সামাল দেওয়া যাবে বলে আশা করছি।” এদিকে এই ব্যাপারে রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই এলাকায় 40 হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। হাজারের উপর কাঁচা ঘর ভেঙে গিয়েছে। দুর্গতদের যথাসাধ্য ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।”

তবে সাধারণ মানুষের এই দুর্দিনেও যেভাবে সাহায্য অপ্রতুল বলে অভিযোগ করছে জনসাধারণ, তাতে প্রশাসনের উপর চাপ বাড়তে শুরু করেছে। একদিকে আমপানের দাপটে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে, আর অন্যদিকে মানুষ যদি এই দুর্দিনে ত্রাণ না পায়, তাহলে প্রশাসনের বিরম্বনা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন সকলে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, শেষ পর্যন্ত কবে সুরাহা হয় গোটা অবস্থার, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!