মোদী-মমতা যুগলবন্দী দেখার আশায় করোনা ভয় শিকেয় তুলে উপচে পড়ল ভিড়! ঘুম উড়ছে প্রশাসনের নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য May 23, 2020 ছবিটার মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু না থাকলেও, এই ছবিটা যে স্বাভাবিক নয় এবং তা যে কিছুটা হলেও ব্যতিক্রমী, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছিল গুঞ্জন। করোনা ভাইরাসের মধ্যেই হঠাৎ করেই বাংলায় আমপান নামক দুর্যোগ চলে আসায় এবার একসাথে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকরকে। জানা যায়, শুক্রবার হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। আর তারপরই বসিরহাট কলেজে তারা একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন। আর মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীকে একসাথে দেখার জন্য এদিন বসিরহাট কলেজ প্রাঙ্গণে ছিল উপচে পড়া ভিড়। সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসকে নিয়ে সামাজিক দূরত্ব পালন করার কথা বলা হলেও, এই ব্যতিক্রমী ছবি দেখতে সেই নিয়মের বিন্দুমাত্র পালন করতে দেখা যায়নি কাউকে। যার ফলে করোনা ভাইরাসের মধ্যেই দূরত্ববিধি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশ কর্তাদের। প্রথমে আশা করা হয়েছিল, মানুষ হয়ত বা এতটা ভিড়ের মধ্যে বেশিক্ষণ থাকবেন না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী একসাথে আসছেন জেনে সেই ছবি দেখতে শেষ পর্যন্ত ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে থাকতে দেখা গেল সাধারণ মানুষকে। দেখা যায়, এদিন প্রথমেই একটি কপ্টার কলেজ মাঠে নামে। সাধারণ মানুষের চোখ তখন সেদিকে। তবে কপ্টার খুলতেই সেখান থেকে নেমে এলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অফিসারেরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এর পরেই কলেজের পেছনে নামে দ্বিতীয় কপ্টার। সবশেষে নামে তৃতীয় কপ্টার। যেখান থেকে নামেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, দেবশ্রী চৌধুরী সহ প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের বেশকিছু অফিসার। তবে সাধারণ মানুষ তখন বিড়বিড় করে আওড়াচ্ছেন যে, নরেন্দ্র মোদি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায়! কোথায় গেলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার! শেষ পর্যন্ত রোদ্রের মধ্যে ভিড় ঠাসা অবস্থাতেই পুলিশি বারনকে অপেক্ষা করে এই ব্যতিক্রমী ছবি দেখতে সেখানে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলেন জনতা জনার্দন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের মধ্যে এইভাবে সামাজিক দূরত্ব না মেনে দাঁড়িয়ে থাকা কি ঠিক? এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, “স্যানিটাইজার হাতে দিচ্ছি। কিছুই হবে না। বাড়ি গিয়ে স্নান করে নেব। কিন্তু বারবার তো প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল একসঙ্গে আসবেন না। সেটা বুঝুন।” কারোর আবার বক্তব্য, “প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীকে কি করোনা ভাইরাসের ভয়ে দেখা যাবে না! মুখে তো মাস্ক রয়েছে অসুবিধা হবে না।” তাহলে কি তাদের পক্ষে ভিড় সামাল দেওয়া সম্ভব হল না? এদিন এই প্রসঙ্গে এক পুলিশ কর্মী বলেন, “মাস্কটুকুই যা পড়েছে, কিন্তু তাতে কি হবে! কাছেই কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র, তার পরেও এমন ভিড়!” প্রশাসনের একাংশ বলছেন, এর ফলে কিছুটা হলেও বিরম্বনা বাড়তে পারে। কেননা বসিরহাটে দিনকে দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর যুগলবন্দী একসাথে দেখার জন্য মানুষ যেভাবে দিন ভিড় করে দাঁড়ালেন, তাতে সামাজিক দূরত্ব যেমন ভাঙল, ঠিক তেমনই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে একাংশের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -