এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সিপিএমের হাতে খুন হওয়া মানুষের চোখের জল মুছিয়ে বাংলা গড়ার পর এবার ১৯-শে নতুন ভারত গড়বেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবী হেভিওয়েটের

সিপিএমের হাতে খুন হওয়া মানুষের চোখের জল মুছিয়ে বাংলা গড়ার পর এবার ১৯-শে নতুন ভারত গড়বেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবী হেভিওয়েটের

২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের পরই পাল্টে যাবে দেশের ছবি। দিল্লির মসনদ থেকে উৎখাত হবে বিজেপি সরকার। নতুন ভারত গঠনের কান্ডারী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই এদিন রঘুনাথপুর মহাকুমা পাড়ার মহুলা ময়দানের জনসভা থেকে বক্তব্যে জানালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য মানস ভুঁইয়া। প্রসঙ্গে তুলে ধরলেন বাম আমলের ৩৪ বছরের অপশাসনের খতিয়ান। বললেন, বাম জামানায় ৫২ হাজার মানুষ খুন হয়েছেন। চোখের জল ঝরেছে বেকসুর মানুষগুলোর। সেই মানুষগুলোর দুর্দশা দূর হয়েছে একমাত্র মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের মাধ্যমেই। তিনিই সাধারণ মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন।

তৃণমূল সরকার এ রাজ্যে যে উন্নয়নের জোয়ার এনেছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যে তা কেবল স্বপ্ন মাত্র! খোঁজ নিলে দেখা যাবে সেখানে বিভেদের রাজনীতি আর ধর্মের নামে হানাহানি ছাড়া আর কিছুই হয়না। প্রসঙ্গে তুলে ধরলেন বিজেপি শাসিত রাজ্য ঝাড়খন্ডের কথা। সেখানের সরকার জোর করে আদিবাসীদের জমি কেড়ে নিচ্ছে, এমনটাই দাবী মানসবাবুর। তবে পশ্চিমবঙ্গে এমনটা হয় না। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসন চলে। নেত্রী আইন তৈরি দিয়েছেন, জোর করে আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়া যাবে না। বললেন,’ ধর্ম আমার, ধর্ম তোমার, উৎসবটা সবার, তাই ধর্মের ভেদাভেদ তৃণমূল করে না।’ রাজ্যসরকারের জনস্বার্থমুখী প্রকল্পের কথা তুলে ধরতে তিনি এটাও জানান, সবুজসাথী প্রকল্প চালু করায় রাজ্যের ৭০ লক্ষ ছাত্রছাত্রী সাইকেল পেয়েছে। এছাড়া বর্তমানে ১ কোটি ৩০ লক্ষ ওবিসি এবং সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীরা স্কলারশিপ পাচ্ছে।

এদিনের সভায় মোদীর নাম উল্লেখ না করেই কটাক্ষে রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য জানান, এখানেই দিন কয়েক জনসভা করে বড় বড় কথা বলেছিলেন এক বাতেলাবাজ নেতা। বললেন, কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপি সাধারণ মানুষের চৌকিদারের কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কালো টাকা উদ্ধার করে দেশের পরিস্থিতি পাল্টাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই কালো টাকা নিয়েই আজ ফেরার নীরব মোদীরা। বিজেপি সরকার যে প্রকৃত অর্থে দুর্নীতিবাজ তার প্রমাণ এটাই। অথচ এ রাজ্যে তৃণমূল শাসনে উন্নয়নে বিপ্লব ঘটে গিয়েছে।

রাজ্যের ৬৮ লক্ষ মেয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় এসেছে। যার জন্যে শিক্ষালাভের সুযোগ পাচ্ছে রাজ্যের দরিদ্র পরিবারের মেয়েরা। আজ আর্থিক সমস্যা তাদের শিক্ষালাভের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না। এই প্রকল্পে রাজ্যসরকার খরচ করেছে ৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এছাড়া সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবাও বিনামূল্যে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর তাই দেশের প্রয়োজনেই বিজেপি হটিয়ে নতুন সূর্যোদয়ের বার্তা দিলেন হেভিওয়েট এই তৃণমূলনেত্রী।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

প্রসঙ্গত, এদিনের সভায় মানসবাবু ছাড়াও রাজ্যের রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত, প্রতিমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, বিধায়ক উমাপদ বাউরি, বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি, জেলা যুব সভাপতি সুশান্ত মাহাত, রঘুনাথপুর পুরসভার চেয়ারম্যান ভবেশ চট্টোপাধ্যায়, ব্লক যুব সভাপতি সজল দেওঘরিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিনের সভায় বেশ কয়েকজন বিরোধীদলের সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!