এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পারফরম্যান্সই কি শেষ কথা বিজেপিতে? মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের পর উঠছে প্রশ্ন!

পারফরম্যান্সই কি শেষ কথা বিজেপিতে? মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের পর উঠছে প্রশ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের পর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পারফরম্যান্স যে শেষ কথা, তা ক্রমশ জোরালো হতে শুরু করেছে। বহু আশা নিয়ে বাংলা দখলের লক্ষ্যে নেমে ছিল বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি এক্ষেত্রে গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে 18 টি আসন দখল করার পর বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করার জন্য সেই 18 জন সাংসদের উপর ভরসা রেখেছিলেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত সাহা অনেকেই ভালো পারফর্মেন্স করেছেন কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থাকা সত্ত্বেও নিজের কেন্দ্রে ভালো সাফল্য দলকে দিতে পারেননি দেবশ্রী চৌধুরী এবং বাবুল সুপ্রিয়।

সেদিক থেকে উত্তর দিনাজপুর এবং আসানসোলের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি মাত্র দুটি আসনে জয়লাভ করেছে। আর সেই কারণেই কি তাদের দুজনকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ছাঁটাই করা হল? সেই জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হলো বাংলার হেভিওয়েট চার বিজেপি সাংসদকে? একাংশ বলেছেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে রাজ্য বিজেপি এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল। এক্ষেত্রে যারা ভালো কাজ করবে এবং সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করবে, তাদেরকে যে দল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসাবে, তা বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়ে বাংলার চার সাংসদকে সেখানে যুক্ত করার মধ্য দিয়েই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বাংলার চার সাংসদকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। যার মধ্যে রয়েছেন আলিপুরদুয়ারের জন বারলা, কোচবিহারের নিশীথ প্রামাণিক, বাঁকুড়ার সুভাষ সরকার এবং বনগাঁর শান্তনু ঠাকুর। আর হেভিওয়েট এই চার বিজেপি সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়ার পরেই অনেকে অংক করতে শুরু করেছে। ঠিক কোন যাদুবলে এই চার বিজেপি সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হল? একাংশ বলছেন, সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে অভূতপূর্ব ফলাফল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর সেই কারণেই সেখানকার দুই সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যুক্ত করা হল। পাশাপাশি মতুয়া সমাজের শান্তনু ঠাকুরের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।

তাই সেখানেও এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফলাফল করেছে গেরুয়া শিবির। তাই তাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইভাবে বাঁকুড়াতে একটি আসন হলেও তৃণমূলের থেকে এগিয়ে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই সেখানকার সাংসদ সুভাষ সরকারকে এর কৃতিত্ব দিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পাইয়ে দিল। তবে বিপরীত দিকে যদি দেখা যায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য থাকা সত্ত্বেও নিজেদের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভা কেন্দ্রগুলোতে খুব একটা ভালো ফলাফল করাতে পারেননি বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেই কারণেই কি তাদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল? যদিও বা এই ব্যাপারে বিজেপির পক্ষ থেকে কোনো সঠিক কারণ সামনে আনা হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা একপ্রকার নিশ্চিত যে, বিধানসভা ভোটের ফলাফল দেখেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বাংলায় যাদের পারফরম্যান্স ভালো, তাদেরকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের মধ্যে দিয়ে রাজ্য বিজেপিকে কিছুটা হলেও বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল। পাশাপাশি 2024 এর লোকসভা নির্বাচনে যাতে ভালো ফলাফল করা যায়, তার জন্য বাংলার সমস্ত দলীয় সাংসদদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার বার্তা এই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের মধ্যে দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল গেরুয়া শিবির।

কেননা ভালো ফলাফল যে লোকসভা কেন্দ্রে হবে, সেখানকার সাংসদরা যে বড় কোনো উপহার নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের পক্ষ থেকে পাবেন, তা বুধবার মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার। বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও বিজেপি বিরোধী দলের আসন লাভ করেছে। আর সেই কারণে যে বেশকিছু জেলার যথেষ্ট অবদান রয়েছে, তা স্বীকার করে নিচ্ছেন রাজ্য বিজেপি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বরা। আর সেই কারণেই যে সমস্ত সাংসদেরা নিজের এলাকায় ভালো ফল করিয়ে দলকে প্রতিষ্ঠা করেছেন, তাদেরকে পুরস্কার স্বরূপ মন্ত্রিসভায় জায়গা দিল গেরুয়া শিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!